বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (তৃতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দস্যু ও দিগ্বিজয়ী।
১১

সম্রাট এত প্রীত ও চমৎকৃত হইয়াছিলেন যে, সেই খ্রীলোক দিগের অভূত পতিপরায়ণতার পুরস্কারস্বরূপ, তাঁহাদের পতিদিগের অপরাধ মার্জ্জনা করিলেন, ডিযুক ও তদীয় অনুচরবর্গের প্রস্থান স্থগিত করিয়া, তাঁহাদিগকে পরম সমাদরে ও মহাসমারোহে আহার করাইলেন, এবং সরল অন্তঃকরণে, সম্পূর্ণ অভয়প্রদান করিয়া, বিদায় দিলেন।


দস্যু ও দিগ্বিজয়ী

মাসিডোনিয়ার অধীশ্বর, প্রসিদ্ধ দিগ্বিজয়ী, মহাবীর আলেকজাগুরের অধিকারকালে, থ্রেস্ দেশে এক অতি পরাক্রান্ত দুর্দ্দান্ত দস্যু ছিল। ঐ দস্যুর দৌরাত্মে, থ্রেস্ ও তৎপার্শ্ববর্ত্তী প্রদেশ সকল কম্পিত হইযাছিল। একদা, সে ধৃত ও আলেকজাণ্ডারের সম্মুখে নীত হইলে, তিনি সরোষ নয়নে ও উদ্ধত বচনে বলিতে লাগিলেন, অরে দুরাত্মন্, তুই দস্যুবৃত্তি করিয়া জীবিকানির্ব্বাহ করিস্। সর্ব্বদাই তোর অশেষবিধ অত্যাচারের কথা শুনিতে পাই। আমি, বহুদিন অবধি তোরে ধরিবার চেষ্টা করিতেছিলাম, কিন্তু কৃতকার্য্য হইতে পারি নাই। আজ তুই আমার সম্পূর্ণ বশে আসিয়াছিস্, তোরে সমুচিত শাস্তিপ্রদান করিব। এক্ষণে, তুই আপন সবিশেষ পরিচয় দে।

 এই কথা শুনিয়া, সেই দস্যু, কিঞ্চিম্মাত্র ভীত বা ক্ষুব্ধ না হইয়া, বলিল, আমি থ্রেসদেশনিবাসী একজন প্রসিদ্ধ যোদ্ধা। আলেকজাণ্ডর বলিলেন, অরে নরাধম, তুই যোদ্ধা বলিয়া