বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (তৃতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্চর্য্য দস্যুদমন।
৬১

পরিপূরিত নয়নে, তীরে অবতীর্ণ হইলেন। সৌভাগ্যক্রমে, অনতিদূরে পোর্ত গীসদিগের এক উপনিবেশ ছিল, তাহা অনতিবিলম্বে, সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া, আশ্রয় প্রাপ্ত হইলেন।

 উপনিবেশের লোকেরা, তাহাদের দুরবস্থার আদ্যোপান্ত সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইয়া, যৎপবোনাস্তি দুঃখিত হইলেন, কিন্তু ঐ দুই সহোদরের, বিশেষতঃ কনিষ্ঠের, ভ্রাতৃস্নেহেব এক- শেষ শ্রবণগোচর কবিয়া, এবং পরিশেষে যেরূপে কনিষ্ঠের প্রাণরক্ষা হইয়াছে তৎসমুদয় বিদিত হইয়া, নিরতিশয় আহলাদিত হইলেন, এবং তাঁহাদের দুই সহোদবকে, এবং কনিষ্ঠের প্রাণরক্ষা উপলক্ষে পিনেসস্থিত লোকদিগকে, মুক্তকণ্ঠে সাধুবাদ প্রদান করিতে লাগিলেন।


আশ্চর্য্য দস্যুদমন

রাইন্ নদীর তীরে যুদফ্ নামে এক গ্রাম আছে। ঐ গ্রামস্থ এক গৃহস্থ, রবিবার প্রাতঃকালে সন্নিহিত গ্রামান্তরের দেবালয়ে, সপরিবারে উপাসনা করিতে গেলেন। একটি শিশুসন্তান ও একমাত্র তরুণী পরিচারিকা বাটীতে রহিল। এই পরিচারিকার নাম হাঁচেন্। সে গৃহস্থের আহার প্রস্তুত করিতেছে, এমন সময়ে বটেলর্ নামক এক যুবক তথায় উপস্থিত হইল। হাঁচেনের সহিত এই ব্যক্তির বিবাহের কথা উত্থাপিত হইয়াছিল, এজন্য সে মধ্যে