পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পিতৃভক্তি ও ভ্রাতৃবাৎসল্য।
১০৩

এই বিবেচনা করিলেন, এরূপ দুশ্চরিত্রকে বিষয়ের অধিকারী করা কোনও মতে উচিত হইতেছে না, করিলে, অল্প দিনের মধ্যে সমস্ত বিষয় নষ্ট হইবে। এজন্য তিনি স্থির করিলেন, কোনও আত্মীয় দ্বারা জ্যেষ্ঠ পুত্রকে একবার সতর্ক করা আবশ্যক। তদনুসারে এক আত্মীয় তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্রকে বলিলেন, তোমার পিতা তোমায় সমস্ত বিষয়ের অধিকারী করিবেন মনস্থ করিয়াছিলেন। কিন্তু তোমার চরিত্রদোষ দর্শনে, এক্ষণে আর তাঁহার সেরূপ অভিপ্রায় নাই। যদি অল্প দিনের মধ্যে তোমার চরিত্রে সংশোধন না হয়, তাহা হইলে তিনি তোমায় বিষয়ের অধিকারী করিবেন না। অতএব যাহাতে তোমার চরিত্র অবিলম্বে সংশোধিত হয়, সে বিষয়ে বিশেষ সচেষ্ট ও যত্নবান্ হও, নতুবা বিষযপ্রাপ্তির আশায় বিসৰ্জ্জন দাও।

 এইরূপে সতর্ক করিলেও তাহার চবিত্রের সংশোধন হইল না। তখন গ্লেন্‌বিল্‌, কনিষ্ঠ পুত্রকে সমস্ত বিষয়ের অধিকারী করিলেন। জ্যেষ্ঠ পুত্র সিদ্ধান্ত করিয়া রাখিয়াছিলেন, পিতা তাঁহাকেই বিষয়ের অধিকারী করিবেন, চরিত্রের সংশোধন না হইলে, তিনি তাহা করিবেন না, ইহা কেবল ভয়প্রদর্শন মাত্র। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর তিনি জানিতে পারিলেন, পিতা কনিষ্ঠ পুত্রকে সমস্ত বিষয়ের অধিকারী করিয়া গিয়াছেন। তখন তাঁহার