পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
আখ্যানমঞ্জরী।

করিয়া বলিলাম, ধর্মাবতার, যে ব্যক্তির এরূপ প্রকৃতি ও এরূপ মতি, অর্থাৎ যে ব্যক্তি এমন দয়াশীল, পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্বিবেচক, তিনি কখনই দুরাচার নহেন। নীচপ্রকৃতি পরহিংসক দুরাত্মারা, ঈর্ষাবশত, অমূলক (দাষারোপ করিয়া, তাহার সর্ব্বনাশ করিতে উদ্যত হইযাছে, নতুবা, যাহাতে প্রাণদণ্ড হইতে পারে, তিনি এরূপ কোনও দোষে দূষিত হইতে পারেন, আমার এরূপ বোধ ও বিশ্বাস হয় না। এক্ষণে আপনার যেরূপ অভিরূচি হ্য়, করুন।

 খলীফা, মহামতি ও অতি উন্নতচিত পুরুষ ছিলেন। তিনি এই সকল কথা কর্ণগোচর করিয়া, কিয়ৎক্ষণ মৌনবিলম্বন করিয়া রহিলেন, অনন্তর, প্রসন্নবদনে বলিলেন, সে ব্যক্তি (য এরূপ দয়াশীল ও ন্যায়পরায়ণ, ইহা অবগত হইয়া, আমি অতিশয আহলাদিত হইলাম। তিনি প্রাণদণ্ড হইতে অব্যাহতি পাইলেন। বলিতে গেলে, তোমা হইতেই তাঁহার প্রাণরক্ষা হইল। এক্ষণে তাঁহাকে অবিলম্বে এই শুভ-সংবাদ দাও, ও আমার নিকটে লইয়া আইস।

 এই কথা শুনিয়া, অহিলাদসাগরে মগ্ন হইয়া, আমি সত্বর গৃহে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক, তাঁহাকে খলীফার সম্মুখে উপস্থিত করিলাম। খলীফা, অবলোকনমাত্র, প্রীতি-প্রফুল্ল