পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X ļa বিজ্ঞানশিক্ষা প্রচারের জন্য ১৯১২ সালে স্যার টি, পালিত বিশ্ব- . বিদ্যালয়ের হস্তে পনের লক্ষ টাকা দান করেন । পরবর্তী বৎসরে এই মহাদেখে স্তার রাসবিহারী ঘোষ মহোদয়ও অতিরিক্ত দশ লক্ষ্ম টাকা দান করেন। এই দুই মহাত্মার অর্থ-সাহায্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের - সংস্রবে বিজ্ঞান-কলেজের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। প্রফুল্লচন্দ্র বিলাতে থাকিতেই সার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহোদয় তাহাকে পালিতপ্রতিষ্ঠিত রাসায়নিক অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করিবার জন্য আহ্বান করেন। বিলাত হইত্বে ফিরিয়া আসিয়া তিনি ঐ পদ গ্রহণে স্বীকৃত হইলে ১৯১৬ সালে প্লাঙ্গালী সরকারের অনুমতি লইয়া তাহাকে ঐ পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৯১৪ সালে বিজ্ঞান কলেজের নবনির্ম্মিত ভবনে বিস্তারিত ভাবে কার্য্যারম্ভ হইয়াছে। r ১৯১৭ সালে প্রফুল্লচন্দ্র সরকারী কার্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন । র্তাহার কার্য্যাবসানে প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রগণ তাহাকে যে অভিনন্দনপত্র প্রদান করেন তাহা শিক্ষকের প্রতি ছাত্রগণের ভক্তি ও শ্রদ্ধার প্রকৃষ্ট নিদর্শন। ব্লাসনাক্সলিক গবেষণা স্বাধীন চিন্তা ও মৌলিক গবেষণার গৌরবে যাহারা বিদেশে বাঙ্গালী জাতির সম্মানবুদ্ধি করিয়াছেন, তাহাদের মধ্যে আচার্য্য জগদীশচন্দ্র ও আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের নামই সর্ব্বাগ্রে স্মরণীয়। সহস্ৰাধিক । বৎসরের জড়তার ফলে স্বাধীন ভাবে কোন বিষয়ের সত্যাহসন্ধানের শক্তি বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক হইতে যেন চিরবিদায় লইয়াছিল। এই উষর ক্ষেত্রে আচার্য্য জগদীশচন্দ্র ও আচার্ষ্য প্রফুল্লচন্দ্র আবিভূত হইয়। আমাল্লিগের সম্মুখে শুধু গবেষণার নূতন পথ খুলিয়া দিয়াছেন এমন