পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী ইংরাজ রাজত্বের প্রারম্ভে বাঙ্গালীর এক সুযোগ আসিয়া উপস্থিত হইল। অল্পসংখ্যক ইংরাজ বণিক স্বীয় বুদ্ধি ও কৌশলবলে যখন বিপুল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করিলেন, তখন ঐ সাম্রাজ্য শাসন ও রাজস্ব আদায়ের জন্য দেশীয় কর্ম্মচারীর আবশ্বক হইল। স্বচতুর ইংরাজ বুঝিলেন যে, রাজ্য সংস্থাপনের মূলে শাসিত প্রজাবৃন্দের সহানুভূতি লাভ প্রয়োজন । সুতরাং ঝাকে রাকে বাঙ্গালী কর্ম্মচারী দেওয়ানী সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে নিযুক্ত হইতে লাগিলেন। কিন্তু বাঙ্গালী এই স্বযোগের অপব্যবহার করিল। কোম কানও স্বার্থাদ্ধ কর্ম্মচারী এই সুযোগে বিপুল অর্থোপার্জন করিয়া লইলেন বটে, স্বীয় অর্থলিপ্ত নিবৃত্তি করিবার নিমিত্ত পশুবৃত্তির আশ্রয় লইলেন ইহাও সত্য বটে, কিন্তু রাজসরকার বিভাগেই হউক কি সওদাগরি বিভাগেই হউক, কিছুতেই প্রকৃত শিক্ষালাভ করিতে পারিলেন না । আমাদেরও সর্ব্বনাশের স্বচনা সেই দিন হইতে হইল। শিল্প বাণিজ্যের বিপুল বিপ্লব পাশ্চাত্য জগৎকে বিচলিত করিল। বাষ্পীয় শক্তি প্রয়োগের দ্বারা কল চালিত হওয়াতে সাধারণ শ্রমজীবিদিগের আর্থিক অবস্থার ভীষণ পরিবর্তন আসিয়া উপস্থিত হইল । ইংলণ্ডের এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় শিল্পেও পরিবর্তন লংঘটিত হইল। পূর্ব্বে ঢাকা, শান্তিপুর, ফরাসডাঙ্গা প্রভৃতি স্থানের মিহি স্থতার কোটি কোটি টাকার * কাপড় ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর এজেন্টগণ বিলাতে পাঠাইতেন ও এই প্রকারে বিলাত্ত্বের কিয়দংশ অর্থ এদেশে প্রত্যাবর্তন করিত। কিন্তু এই বাষ্পীয় শক্তির আবিষ্কার সে পথ বন্ধ করিয়া দিল-শ্রমজীবিদিগের জীবনে এক নূতন অধ্যায় আরম্ভ হইল। এই পরিবর্তনে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবির

  • R. C. Dutt's Statistics.