পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৭৫

ম্যানেজারের সংগে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বড়ই আদর করতে লাগলেন। সুযোগ বুঝে বাড়িটার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। ম্যানেজার বললেন, “দেখে বোধ হয় এটি গৃহস্থের বাড়ি, কিন্তু এরূপ স্থানে গৃহস্থ থাকে না, থাকতে পারে না। কিন্তু কর্পোরেশনের চোখে ধূলা দিয়েই বাড়িটা রাতারাতি প্রস্তুত হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই চালাকি ধরা পড়ে এবং যিনি বাড়ি করেছিলেন তাকে দণ্ড দেওয়া হয়। তাই আপাতত এই কাঠের পার্টিশন; সত্বরই অন্য ব্যবস্থা হবে।” ঘুষ দেবার পাপ করা শুধু ভারতেই প্রচলিত নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই আছে, বিশেষত পুঁজিবাদীদের রাজত্বে। আমেরিকায় কনফিডেন্স ম্যন, ক্রুক প্রভৃতির সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলছে। কে কোন্ মতলবে বাড়িখানা তৈরী করেছিল তা কে জানে। আমেরিকায় বাড়ি তৈরী কর গির্জা তৈরী কর, যা ইচ্ছা তাই তৈরী কর, স্বাস্থ্যবিধির আইন মেনে চলতে হবেই। এখানে আমেরিকা ধর্মের সাম্রাজ্যবাদ বর্জন করেছে দেখে ভারী আনন্দ হল।

 আমেরিকার মজুররা যেমনভাবে দিন কাটাচ্ছে, দুঃখের বিষয়, পৃথিবীর কোনও দেশের মজুর তেমন সুবিধা পাচ্ছে না। আমেরিকার মজুর কোনও রকমে যদি সপ্তাহে তিন দিন কাজ করতে পারে তা হলে সপ্তাহের বাকী দিন কটা সে কাজ না করেই কাটিয়ে দিতে পারে, অবশ্য যদি সে স্ত্রীপুত্রপরিবার-বেষ্টিত না হয়। কলকাতার দু-হাজারী তিনহাজারী ইউরোপীয় কর্মচারীরা যেভাবে অবসর যাপন করে, আমেরিকার একক ঝাড়ুদারও সেইভাবে অবসর সময় যাপন করতে পারে এজন্য সপ্তাহে তার তিন দিন কাজ থাকলেই যথেষ্ট।

 হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে একটি ছোট রেস্তোরাঁয় খেতে গেলাম। অনেক লোক তাতে বসে খাচ্ছিল। কেউ বা আপন আপন বন্ধুবান্ধবদের