পরেই তারা অপরাধীর সন্ধান করে বেড়ায়। শুনেছি, পথচারীদের মধ্যে যারা রাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনা করে, ওরা তাদের কাছে ঘেঁষে না। ওদের ধারণা যারা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় তারা পকেটমার জাতীয় নিকৃষ্ট জীব হতে পারে না।
এইবার পাতালের কথা বলছি। লণ্ডনের মত এখানেও ভূগর্ভ রেলপথ আছে। কিন্তু লণ্ডনের চেয়ে লোকের চলাচল বেশী এবং স্টেশনগুলিও তুলনায় অনেক বড়। টাইম্স্ স্কোয়ার-এর স্টেশনের সংগে চেয়ারিং ক্রসের তুলনা হতে পারে না। টাইম্স্ স্কোয়ার হাওড়া স্টেশনের দ্বিগুণ। লোক চলাচল উপরে যেমন, নীচেও তেমনি। গাইড আছে, সে পথের সংবাদ দেয়। ডলারের ভাংগানি নিয়ে কয়েকটী লোক বসে থাকে, তাদের কাছে একশত ডলারের নোটও ভাংগানো যায় এবং তার জন্য কোনওরূপ বাট্টা দিতে হয় না। সুবিধা সব রকমে বিরাজ করছে। একটা দেখবার মতন জায়গা বটে। সেখানে গিয়ে অন্তত চার ঘণ্টা কাটালে স্থানটি কিরূপ তার কিছুটা বুঝতে পারা যায়।
জায়গাটার কিন্তু বদনাম আছে। কয়েক দিন নানা লোকের সংগে সেখানে যাওয়া আসা করছিলাম, পরে একদিন একাকী গিয়ে বুঝতে পারলাম বদনাম যা আছে তা সত্য বটে। এই স্থানটি দেখে মনে হল মিস্ মেয়োকে গিয়ে বলি, তিনি যেমন ভারতবর্যের নর্দমা ঝাঁট দিয়ে বই লিখেছিলেন তেমনি হারলামের কোণ থেকে আরম্ভ করে টাইম্স্ স্কোয়ারের বুক পর্যন্ত ঝাঁট দিয়ে যদি বই লিখতেন তবেই বলতাম তিনি স্বাধীন লেখিকা। কিন্তু দেখা হয় নি। শুনলাম তিনি কোনও হিন্দুর (অর্থাৎ ভারতবাসীর) সংগে সাক্ষাৎ করেন না।
মর্ত্য আর পাতালের কথা বলছি, এইবার স্বর্গ বা আকাশের কথা বলি। গংগা নদীর উপর একটা পুল আছে―সেরূপ পুল যদি