পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

বিবরণ সংগ্রহ করিয়াছে এবং এরোপ্লেন্ হইতে সার্ভে করিয়াছে। কিকারি দলে গুপ্তচরদের মধ্যে বাঙালী, মণিপুরী, অহমিয়া, নাগা ও বর্মীজ্ আছে। ইহারা নানা ছলে ইংরেজদের ঘাঁটীগুলিতে গিয়া সেখানকার সংবাদ সংগ্রহ করিয়া আনে। জাপানী সেনাপতি কর্ণেল্ য়ামামোতা ও জেনারেল্ ইসোভা আজাদ হিন্দ্ ফৌজের সহিত সহযোগিতা করিতেছেন।

 আমরা খুব ছোট ছোট দলে বিভক্ত হইয়া অগ্রসর হইতেছি। পাহাড় ও জঙ্গল—জঙ্গল ও পাহাড়; চড়াই ও উতরাৎ—উতরাই ও চড়াই। পথের যেন শেষ নাই। যতদূর দেখা যায়, ততদূরই কালো পাহাড়ের ‘সারি’ মেঘের ঢেউ-এর মত সাজানো রহিয়াছে। পাহাড়ের গায়ে উঠিবার সময় কাঁটাগাছে লাগিয়া দুটী হাত ক্ষতবিক্ষত হইয়াছে।

 আমাদের সঙ্গে ভারী মোট বিশেষ কিছু নাই; তাই সুবিধা। অমদের সঙ্গে রাইফেল্ ও পিস্তল আছে। তাহা ছাড়া আমাদের দলে মেসিন গান ও ব্রেন্ গান্ পাইয়াছি। এইগুলি ভারী নয়—বেশ হাল্কা—নাড়াচাড়া করা ও চালানোও সোজা। একজন মাত্র লোক ব্রেন্ গান্ চালাইতে পারে। মিনিটে প্রায় দেড়শত গুলি ছোঁড়া যায় এবং ছয় শত গজের মধ্যে শত্রু থাকিলে ইহা দ্বারা শত্রুনাশ করা চলে।

 আজ একজন চর কোহিমার সংবাদ আনিল—কোহিমার পথে ফেক্ ও খারাসন্ গ্রামে ইংরেজদের ঘাঁটী আছে; সেখানে বার্মা ও আসাম রেজিমেণ্টের সৈন্য় রহিয়াছে। কোহিমা শহর ইংরেজদের একটি বড় ঘাঁটী। এখানে ৪।৫ হাজার সৈন্য আছে—তাহার মধ্যে বৃটিশ ও ভারতীয় উভয় সৈন্যই আছে। ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে দ্বিতীয় পাঞ্জাব রেজিমেণ্ট ও তৃতীয় আসাম রাইফেল বাহিনী প্রধান।