পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১২৭

 ‘গত বৎসর আজাদ হিন্দ ফৌজ প্রথম রণক্ষেত্রে বিপক্ষের সম্মুখীন হইয়াছিল। রণাঙ্গনে আজাদ হিন্দ্ ফৌজ যে বীরত্ব দেখাইয়াছে তাহা গৌরবময় এবং আমার আশার অতীত। তাহারা শত্রু ও মিত্র সকলেরই প্রশংসা লাভ করিয়াছে। আমরা যখনি যেখানে তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়াছি, সেখানেই তাহাদের পর্যুদস্ত করিয়া পরাজিত করিয়াছি। আমরা পরাজিত হই নাই; অসম্ভব বৃষ্টি এবং অন্যান্য বাধাবিঘ্নের ফলে আমরা রণকৌশলের খাতিরে ইম্ফল রণাঙ্গন হইতে আমাদের সেনাবাহিনী ফিরাইয়া আনিতে বাধ্য হই।

 ‘আমরা এক্ষণে এই সব বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করিতে চেষ্টা করিতেছি।

 ‘এই বৎসর যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ণীত হইবে। ইম্ফল্ পর্বতমালা ও চট্টগ্রামের সমতলভূমিতে ভারতের স্বাধীনতা ও আমাদের ভাগ্য নির্দ্ধারিত হইবে।

 ‘গত বৎসর আমাদের কিছু লোক শত্রুপক্ষে যোগদান করিয়াছিল। আমরা যখন রণাঙ্গণে যুদ্ধে রত থাকিব, তখন আমি চাহি না যে একজনও বিপক্ষে চলিয়া যায়। সুতরাং যদি কেহ মনের দৌর্বল্য, কাপুরুষতা বা অন্য কোন কারণে রণাঙ্গনে যাইতে অক্ষম বলিয়া মনে করে, সে যেন তাহার রেজিমেণ্টের কমাণ্ডারের নিকট তাহা বলে; তাহা হইলে তাহাকে অন্য কার্য্যে নিয়োগ করা হইবে।’

 ‘আমি তোমাদের কাছে কুসুমাচ্ছাদিত স্বপ্নের কাহিনী চিত্রিত করিতে চাহি না। যখন তোমরা রণাঙ্গনে উপস্থিত হইবে তখন তোমাদের ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও অন্যান্য দুঃখকষ্ট এবং এমন কি মৃত্যু পর্য্যন্ত বরণ করিতে হইতে পারে। আমাদের বিপক্ষ যতদূর সম্ভব তৈয়ারী হইয়াছে; আমাদের সমস্ত সম্বল নিযুক্ত করিতে হইবে—