পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

 ‘সব ত্যাগ কর—সব দিয়া ফকির হও।’

 নেতাজীর কণ্ঠস্বরে যাদু আছে; তাঁহার বাণী সকলের মনে নূতন উৎসাহের সঞ্চার করিয়াছে।

২রা ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫: পোপা

 আজ পোপায় পৌছিয়াছি। পোপা পর্বত ৪৯৩১ ফিট উচ্চ; উত্তর বর্মার মিঙ্গিয়ন জেলার দক্ষিণে। আমরা যেখানে আছি, সেখান হইতে পোপার সর্ব্বোচ্চ শিখর অনেক দূর।

১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫:

 গতকল্য কর্ণেল ধীলন এখানে আসিয়া পোঁছিয়াছেন। তাঁহার নেহরু রেজিমেণ্টের অবস্থা বড় খারাপ—অনেকের বন্দুক নাই, আবার অনেকের সঙ্গে বিছানা বা গরম কাপড়ও নাই। এই রেজিমেণ্টের প্রায় তিনশত লোক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে আসিয়া পৌছিয়াছে।

 আজ কর্ণেল সেহগল আসিলেন।

২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫:

 আজ সকালে কিয়ঙ্ক্ পদাউঙ্গ শহরে পৌঁছিয়াছি। এখান হইতে সংবাদ লইয়া এরোপ্লেনে যাইতে হইবে নেতাজীর অফিসে।

 বৃটিশ বাহিনী বর্মার উপর জোর আক্রমণ চালাইয়া অগ্রসর হইতেছে। মান্দালয় পৌছিয়া শুনিলাম—নেতাজী টউঙ্গগি গিয়াছেন।

 এখানে কর্ণেল সেহগলের রণাঙ্গন হইতে একজন অফিসার আসিয়ছেন। তাঁহার নিকট জানিলাম—ইংরেজ সৈন্য কর্ণেল ধীলনের রণাঙ্গনের একস্থানে গত ১৭ই তারিখে ইরাবতী নদী পার হইয়াছে। কর্ণেল ধীলনের রেজিমেণ্টের মধ্যে ভয়ানক বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইয়াছে। সৈন্যরা কাহারও কথা শুনিতেছে না; তাহাদের মনোবল নষ্ট হইয়া