গিয়াছে। মেঘে ও মাটিতে যুদ্ধ চলিয়াছে। আকাশে বাতাসে, মাটিতে চারিদিকে মৃত্যুর বন্যা। মনে হইতেছে— রেঙ্গুন শহর বুঝি আজ ধ্বংশ হইয়া যাইবে। মাথার উপরে মৃত্যুর দূত। হঠাৎ মুহূর্ত্তগুলি যেন অচল হইয়া গিয়াছে।
দেখিলাম—দূরে লেলিহান অগ্নিশিখা দাউ দাউ করিয়া জ্বলিয়া উঠিতেছে। নিবিড় ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে মাথা তুলিয়াছে।
আবার সাইরেন বাজিল—একটানা শব্দ। অল ক্লিয়ার্। যাক্— আজকার মতন আমরা বঁচিয়া গেলাম।
বোমার শব্দের তুলনায় বাড়ীঘরের ক্ষতি বেশী হয় নাই। কিন্তু অফিস অঞ্চলের রাস্তায় অনেক লোক মরিয়াছে। শেল্টার গ্রহণ না করাই তাহার কারণ।
রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী শ্যামানন্দের নিকট শুনিলাম যে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের দুইটি পাকা বাড়ী ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত ঘরই নষ্ট হইয়াছে।
পাকা বাড়ীর এক তলায় থাকিলে এই বোমা হইতে অনেকটা নিরাপদ থাকা যায়।
২৬শে ডিসেম্বর ১৯৪১:
আজ আবার রেঙ্গুনে বোমা পড়িল। সেদিন অপেক্ষা আজ লোক মরিয়াছে কম।
১৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪২:
জাপানীরা মৌলমেন্ ও মার্তাবান্ দখল করিয়াছে এবং সিতাং নদী পর্য্যন্ত আসিয়া পড়িয়াছে।
রেঙ্গুনের অনেক দোকানে ধারে মাল দিয়াছি। কিন্তু যেখানে