সে বলিল—‘ভাবিতেছি। আপনি তো গোয়ার লোক—পর্ত্তুগীজ গভর্ণমেণ্টের প্রজা। তাহারা যুদ্ধের মধ্যে নাই। সুতরাং হার-জিত যাহাই হউক না কেন, আপনাকে কেহ কিছু করিতে পারিবে না। কিন্তু যদি বৃটিশ শেষ পর্য্যন্ত জয়লাভ করে, তাহা হইলে আমাদের দুর্দ্দশা হইবে।
আজিজ চলিয়া গেল।
আজ প্রায় ৮ হাজার লোক স্বেচ্ছায় নাম লিখাইয়াছে। নেতাজী সত্যই মানুষকে মাতাইতে পারেন।
৬ই ডিসেম্বর ১৯৪৩:
আজ রেডিওতে শুনিলাম, কাল কলিকাতার খিদিরপুর ডকে জাপানীরা বোমা ফেলিয়াছে। উহারা কি নিজেরাই ভারত আক্রমণ করিল?
২০শে ডিসেম্বর ১৯৪৩:
আজাদ হিন্দ্ গেজেটের মাসিক সংখ্যায় একটি ঘোষণা আছে—
‘পূর্ব এশিয়ার ভারতীয়গণ এক্ষণে আর কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রজা নয়। তাঁহারা আজ অস্থায়ী আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্টের প্রজা বলিয়া গর্ব অনুভব করিতে পারেন। মালয়ের প্রত্যেক ভারতীয়কে এক কথাটি বুঝাইয়া দিতে হইবে। আমাদের দেশবাসীগণের মধ্যে এই নূতন মর্য্যাদার দায়িত্ববোধ জাগ্রত করিবার জন্য স্থির করা হইয়াছে যে ইণ্ডিয়ান হণ্ডিপেণ্ডেন্স্ লীগের প্রত্যেক সভ্যকে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্টের নিকট অনুগত্যের শপথ গ্রহণ করিতে হইবে।’
আজ সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে আমাদের নিজস্ব আজাদ হিন্দ্ রেডিওর বেতার বক্তৃতা শুনিলাম।