পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১০১

আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলেন না। যাগ হউক ভারতবর্ষে চলিয়া যাইবার সুযোগ লাভের উদ্দেশ্যে তিনি তাহাতে যোগ দেন। কিভাবে তিনি এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ করেন তাহা বর্ণনা করেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে যান এবং সীতা হিল নামক নিকটবর্তী এক পাহাড় হইতে তাঁহাকে রেশন আনিবার জন্য পাঠান হইলে তিনি এক বৃটিশ রেজিমেণ্টের সাক্ষাৎ পান এবং উহার নিকট অত্মসমর্পণ করেন।

সিপাহী দলসা খানের সাক্ষ্য

 ২৮শে নভেম্বর মামলার শুনানী আরম্ভ হইলে ১।১৪ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের সিপাহী দলসা খানের সাক্ষ্য প্রথমে গৃহীত হয়। সাক্ষী বলে যে প্রথমে সে আজাদ ব্রিগেডে ছিল, পরে তাহাকে বসু ব্রিগেডের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন শাহনওয়াজ একদিন এইরূপ বক্তৃতা দেন; আমাদের এই ব্রিগেডই প্রথম রণাঙ্গনে যাইবে। নির্ব্বচিত সৈন্যদের লইয়া এই দল তৈয়ারী হইয়াছে। যুদ্ধে আমাদিগকে বহু কষ্ট সহ্য করিতে হইবে, এমন কি মৃত্যুও বরণ করিতে হইতে পারে। যদি কেহ কষ্ট সহ্য বা মৃত্যুবরণে ভয় পায়, সে যেন এখনই সরিয়া দাঁড়ায়। আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়িতে হইবে। এ যুদ্ধে আমরা ভীরুদের চাহিনা, আমর চাই সাহসী লোকদের।

 আমাদের মিত্রশক্তি জাপানীদের পাশাপাশি দাঁড়াইয়া আমরা যখন লড়িব, তখন নিজেদের নিকৃষ্টরূপে প্রতিপন্ন করিয়া আমাদের জাতির অবমাননা করিলে চলিবে না। ভারতে পৌঁছিলে আমরা বহু নরনারীর সম্মুখীন হইব। বয়োজ্যষ্ঠা নারীদের আমরা মাতারূপে এবং কনিষ্ঠদের ভগ্নী ও কন্যারূপে বিবেচনা করিব। যদি কেহ এই নির্দ্দেশ অমান্য করে তাহা হইলে তাহাকে গুলি করিয়া তাহাকে হত্যা করা হইবে। ভারত স্বাধীন হইলে, আমাদের বর্ত্তমান সহযোগী জাপানীরা যদি আমাদের উপর