পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১০৩

 অতঃপর সাক্ষী বলে যে, সে রেঙ্গুণে সুভাষচন্দ্রের এক বক্তৃতা সভায় উপস্থিত ছিল।

 প্রশ্ন—সুভাষচন্দ্র তোমাদের বলিয়াছিলেন যে জাতীয় বাহিনী ভারতের মুক্তির জন্য যুদ্ধ করিতেছে। —হ্যাঁ।

 প্রশ্ন—জাপানীদের সুবিধার জন্য নহে, ভারতের মুক্তিই জাতীয় বাহিনীর উদ্দেশ্য। —হ্যাঁ

 প্রশ্ন—তিনি ইহাও বলিয়াছিলেন যে, তাঁহারা যে জাপানের সাহায্য করিতেছেন তাহা শুধু ভারতের মুক্তি সংগ্রামের সহজ ও সুগম করিবার জন্য। —হ্যাঁ।

 প্রশ্ন—তিনি ইহাও বলিয়াছিলেন যে, জাতীয় বাহিনীর সামর্থ্য পরিমিত এবং জাতীয় বাহিনী ফুলশয্যা নহে। —হ্যাঁ।

 প্রশ্ন—কোনরূপ ঐহিক লাভের লোভ দেখাইয়া কাহাকেও জাতীয় বাহিনীতে ডাকিয়া আনা হয় নাই। —হ্যাঁ।

 প্রশ্ন—সত্যকার দেশপ্রেমিক যারা তাহারাই শুধু জাতীয় বাহিনীতে থাকিবে —হ্যাঁ।

 প্রশ্ন—যাহার। আগাইয়া যাইতে নারাজ তাহাদের জোর করা হয় নাই। —হ্যাঁ।

সিপাহী সৈয়দুল্লা খানের সাক্ষ্য

 ২৮শে নভেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজের মামলার শুনানীর কালে সরকার পক্ষীয় সাক্ষী সিপাহী সৈয়দুল্লা খান বলে, মামলায় সাক্ষ্য দিবার কালে তাহাকে কি কি বলিতে হইবে তাহা শিখাইয়া দেওয়া হইয়াছিল এবং তারিখগুলি স্মরণ রাখিতে বলা হইয়াছিল।

 সিপাহী সৈয়দুল্লা খান বলে যে, সে ১৯৪০ সালের ১২ই ডিসেম্বর