এম্বুল্যান্স ইউনিটে যোগদান করিয়াছিলেন এবং তাহার কাজ ছিল রোগীদিগের ব্যাণ্ডেজ বাঁধিয়া দেওয়া এবং তাহাদের বিছানা করিয়া দেওয়া। সৈন্যবিভাগে যোগদানের পূর্বে সে ভৃত্য ও শ্রমিকের কাজ করিত। হাসপাতালে যোগদান করিলে পর তাহাকে রোগীদের ব্যাণ্ডেজ বাঁধা ও তাহাদের বিছানা করার কাজ শেখান হয়। যুদ্ধবিগ্রহের কাজের সহিত তাহার কোন সম্পর্ক ছিল না।
প্রশ্ন: তুমি যে মহম্মদ হোসেন ও গাড়োয়ালীর কথা বলিয়াছ, তাহারা কি একটি সৈন্যবাহিনীর লোক ছিল?
উত্তর: হাঁ।
প্রশ্ন: পলায়ন সম্পর্কিত কথাবার্ত্তার সময় তাহারা উপস্থিত ছিল না?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: এই তথাকথিত আলোচনার পূর্বে তুমি তাহাদিগকে কখনও জানিতে না?
উত্তর: তাহাদের পরিচয় আমি জানিতাম না।
প্রশ্ন: তুমি পূর্ব্বে তাহাদের সহিত কখনও কথা বল নাই?
উত্তর: আমি পূর্ব্বে তাহাদের সহিত কথা বলি নাই।
সাক্ষী বলে, যখন কথাবার্তা হইয়াছিল, তখন সে জাপানী শিবিরে ছিল। সে পূর্বে কখনও বার্মা যায় নাই।
প্রশ্ন: ১৯৪২ সালের অক্টোবর মাসে তুমি স্বেচ্ছায় আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়াছিলে?
উত্তর: সৈন্যবিভাগে যোগদানের পূর্বে বন্দরে মাল বোঝাইয়ের ব্যাপারে দিনরাত্রি আমাদিগকে কঠোর পরিশ্রম করিতে হইত। জনৈক ক্যাপ্টেন আমার নিকট আসিয়া বলেন যে, আমি যদি হাসপাতালে যোগদান করি তাহা হইলে ঐ পরিশ্রমের হাত হইতে অব্যাহতি পাইতে পারি এবং পরে ব্রিটিশ পক্ষে যাওয়ার সুযোগ পাইতে পারি।