পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১২৭

 স্যার এন পি ইঞ্জিনীয়ার— আমি সম্পূর্ণ রিপোর্টটি দেখিতে চাই।

 শ্রীযুত দেশাই—টোকিওর মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাহাদের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত দপ্তরের মারফতে উক্ত রিপোর্টের অনুবাদ পাঠাইয়াছেন।

 এডভোকেট জেনারেল—এই অনুবাদ যে নির্ভুল, তাহার প্রমাণ কি।

 সাক্ষী বলেন যে, তিনি জাপ ভাষায় লিখিত মূল রিপোর্ট এবং উহার ইংরেজী অনুবাদ দেখিয়াছেন। তাহাতে তিনি বলিতে পারেন যে উক্ত অনুবাদ নির্ভুল। এই অবস্থায় আদালত দলিলপত্রাদি মানিয়া লইতে সিদ্ধান্ত করেন।

 অতঃপর সাক্ষী বলেন যে, জাপ গভর্ণমেণ্ট মিঃ হাচিয়াকে অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্টের নিকট কূটনীতিক প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরণের সিদ্ধান্ত করেন। এই মর্মে এক ঘোষণাও বাহির হয়। তিনি উক্ত ঘোষণাপত্রের এক প্রতিলিপি আদালতে পেশ করেন।

 এডভোকেট জেনারেল কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া সাক্ষী বলেন যে, ১৯২৮ সাল হইতে তিনি জাপ পররাষ্ট্র দপ্তরে নিযুক্ত আছেন।

 প্রঃ—জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষিত হইবার বহু পূর্ব হইতেই টোকিওতে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের একটি শাখা ছিল বলিয়া কি আপনি অবগত আছেন?

 উঃ—আমি তাহা অবগত নহি।

 প্রঃ—১৯৪২ সালে শুভেচ্ছাজ্ঞাপক মিশনের কথা কি আপনি জানেন?

 উঃ—আমার স্মরণ নাই।

 প্রঃ—আপনি কি তখন আপনার দপ্তরে ছিলেন? শুভেচ্ছাজ্ঞাপক মিশনের সহিত আমার কোন সম্পর্ক ছিল না।

 উঃ— আমি পররাষ্ট্র দপ্তরে ছিলাম।

 প্রঃ—আপনি কি অবগত আছেন যে, ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের