পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সামরিক গভর্ণমেণ্টের প্রতিজ্ঞা পত্র বিচার করিয়াও দেখান যে আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা পত্রের উদ্দেশ্যও একই ধরণের।

 ইহা আশা করা যায় যে বিশ্বাসঘাতকতার মূলনীতি সম্পর্কে সরকার পক্ষ কোনরূপ অভিযোগ উপস্থাপিত করিবেন না, কারণ অন্যান্য দেশের ন্যায় ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ শব্দটি শিথিল ভাবে প্রযুক্ত হয় না।

 যুক্তির দিক হইতে দেখিলেও মানিতে হইবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ জাপানীদের যুদ্ধবন্দী ছিল, উপরোক্ত ঘটনা না ঘটিলেও যুদ্ধবন্দীর যে বাধ্যবাধকতা আছে তাহারা তাহা ভঙ্গ করে নাই কারণ তাহার। জাপানীদের অর্থাৎ শত্রুপক্ষের যন্ত্র বা চর রূপে কোন কাজ করে নাই আমি ইহাই দেখাইতে চাই যে যুদ্ধবন্দীদের স্বকীয় মাতৃভূমি স্বাধীন করিবার জন্য স্বেচ্ছায় সংগ্রাম করিতে কোনরূপ বাধা নিষেধ নাই। আমি জাপানীদের ও ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর সৈনিকদের ভারত সম্পর্কে যে সব প্রতিজ্ঞাপত্র আছে তৎসম্পর্কে আমি বিশেষভাবে অবিহিত হইতে বলি। নতুবা আদালত ভুল পথে চলিতে পারে।

 আমি স্বীকার করি যে, আদালত বা কোনও সদস্য জাপানীদের বিশ্বাস করা সম্পর্কে আমাকে ভ্রান্ত আখ্যা দিতে পারেন কিন্তু সেইটিই বিষয় বিচার্য্য নহে। জাতীয় বাহিনী সম্পর্কে অনেক সরকারী সাক্ষীও বলিয়াছে যে, ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাহারা সকলের সহিত এমন কি জাপানীদের সহিতও সংগ্রাম করা বাঞ্ছনীয় মনে করিত। তাহারা তাহাদের পন্থা ন্যায়ানুমোদিত বলিয়াই বিশ্বাস করিত।

 জাতীয় বাহিনীর ইতিহাসের ধারা অনুসরণ করিয়া শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন যে, সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা বুঝা গিয়াছে যে, জাপানীগণ যখন উপলব্ধি করেন যে মোহন সিংহের পরিচলিত জাতীয় বাহিনী জাপানীদের অঙ্গুলী সঙ্কেতে পরিচালিত হইবে না তখন তাহারা বিশেষ উদ্বিগ্ন হইয়া রাসবিহারী বাবুর