পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

চার ব্যক্তি সম্ভবতঃ জাঠ ছিল। কিন্তু যতক্ষণ পর্য্যন্ত উক্ত চারি ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যা করা সম্পর্কে তাহাদের অপরাধপত্রে কোন লিখিত বিষয় পাওয়া না যায় ততক্ষণ পর্য্যন্ত আদালত উক্ত অপরাধকে গণ্য করিতে পারিবেন না। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত চারি ব্যক্তিকেই গুলী করিয়া হত্যা করা হইয়াছিল কিনা সেই সম্পর্কে আদালতে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। এখানে একটা দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে—ধরা যাক যে, একজন হিন্দুকে গুলী করিয়া হত্যা করা হইয়াছে বলিয়া “ক” কে অভিযুক্ত করা হইয়াছে। একজন হিন্দুকে হয়ত কেহ হত্যা করিতে পারে কিন্তু সে অপরাধে ত আপনি “ক” এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করিতে পারিলেন না। সুতরাং এখানে একজন হিন্দুকে হত্যা করার অভিযোগে “ক” কে দণ্ড দেওয়া যাইতে পারে না। এখানেও সেইরূপ অবস্থারই উদ্ভব হইয়াছে। যে চারিজন ব্যক্তিকে হত্যা করা সম্পর্কে অভিযোগ করা হইয়াছে সেই চারিজন ব্যক্তিকে লেঃ ধীলন হত্যার আদেশ দিয়াছিলেন বলিয়া আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই।

 সরকার পক্ষের সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্যপ্রদান কালে ইহা বলিয়াছে যে, মহম্মদ হোসেনকে গুলী-বিদ্ধ করিয়া হত্যা করিবার সময় আয়া সিং এবং খাজিম শা’ নামক অপর দুই ব্যক্তিও উক্ত ঘটনাস্থলে ছিল এবং সাক্ষী আদালতের নিকট ইহাও বলিয়াছে যে, ঐ দুইজন ব্যক্তি এখনও জীবিত আছে। কিন্তু আদালতের সম্মুখে ঐ বাক্তিদ্বয়ের মধ্যে কাহাকেও উপস্থিত করা হয় নাই।

 চারিজন ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যা সম্পর্কে আসামীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হইয়াছে তৎসম্পর্কে মিঃ দেশাই বলেন যে, বাস্তবিক পক্ষে ঐ দণ্ডাদেশ কার্য্যে পরিণত করা হয় নাই। এই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন যে, উক্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশের অনুরূপ আরও দণ্ডাদেশ সম্পর্কে আদালতের নিকট নজীর আছে, কিন্তু ইহা বলা যায় যে কোনও ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্য্যে পরিণত করা হয় নাই। উপরন্তু হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত করা সম্পর্কে