পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২০৭

প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষিত হইয়াছিল; এই সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত হইয়াছিল; চক্রশক্তি এই সরকারকে স্বীকার করিয়াছিল এবং এই স্বীকৃতির ফলেই প্রমাণিত হয় যে স্বাধীন ভারত সরকার রাষ্ট্রের মর্য্যাদা পাইয়াছিল; এই রাষ্ট্রের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত একটি সৈন্যবাহিনী ছিল এবং ভারতীয় অফিসারদের কর্ত্তৃত্বাধীনে ইহা পরিচালিত হইত; ভারতের মুক্তিই আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এবং ইহার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধকালীন বার্ম্মা ও মালয়ের ভারতীয়দের রক্ষা করা; অন্যান্য রাষ্ট্রের মতই নবগঠিত ভারতীয় রাষ্ট্রের অধীকারভূক্ত অঞ্চলও ছিল এবং সর্ব্বশেষে বিরাট যুদ্ধ পরিচালনা করিবার মত সম্পদও এই রাষ্ট্রের ছিল।

 উপরোল্লিখিত ঘটনার উপর ভিত্তি করিয়া আসামী পক্ষ হইতে বলা হইয়াছে যে, যে অবস্থায় অস্থায়ী সরকার গঠিত হইয়াছিল এবং পরিচালিত হইয়াছিল, সেই অবস্থায় দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করিবার অধিকার তাহাদের ছিল এবং তাহারা যুদ্ধ করিয়াছিল। যদি এই সরকারের যুদ্ধ করিবার অধিকার স্বীকৃত হয় এবং যে অধিকার প্রত্যেক জাতিরই আছে, তাহা হইলে আন্তর্জ্জাতিক আইন অনুসারে দুইটি স্বাধীন দেশ বা দুইটি রাষ্ট্র পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ ঘোষনা করিতে পারে এবং যাহারা এই যুদ্ধ পরিচালনা করিয়াছে, যুদ্ধ পরিচালনায় তাহারা যাহা কিছু করিয়াছে, এক মাত্র যুদ্ধ অপরাধীরা ব্যতীত আর সবাই মিউনিসিপ্যাল আইনের অধিকার বহির্ভূত।

 কর্ণেল কেরীণ বলেন, উভয় পক্ষ হইতে উত্থাপিত আন্তর্জ্জাতিক আইন আপনাদের বিচার করিয়া দেখিতে হইবে। উভয় পক্ষ হইতে উত্থাপিত ঘটনাবলী বিচার করিয়া আপনাদের দেখিতে হইবে আন্তর্জ্জাতিক আইন অনুসারে কোনগুলি গ্রহণ যোগ্য এবং সেইগুলি আপনাদের গ্রহণ করিতে হইবে। আপনাদিগকে আমি আরও স্মরণ করাইয়া দিতে চাই যে, বাদী, একটি রাষ্ট্র এবং উহার প্রজাদের মধ্যে সম্পূর্ণ ঘরোয়া প্রশ্ন সম্পর্কে আন্তর্জ্জাতিক