পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সম্পর্কে যতদূর সম্ভব সুস্পষ্ট ভাবে আপনাদিগকে আমার মতামত দেওয়া, কিন্তু ঘটনার প্রশ্ন সম্পর্কে যাহা কিছু স্থির করিবার তাহা আপনারাই করিবেন।

 “সাক্ষ্য সম্বন্ধে আপনাদের এখন বিবেচনা করিতে হইবে এবং ইহা গ্রহণ বা নাচক করা সম্পর্কে যাহা যুক্তিযুক্ত মনে করেন তাহা করিবেন। এই কথা স্বীকার করিতেই হইবে যে, এই মামলা এবং এই ধরনের অন্যান্য মামলার দিকে সংবাদপত্রের ভিতর দিয়া এবং অন্যান্য নানা ভাবে সমগ্র দেশের লোকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছে। আপনারাও ইহা নিশ্চই লক্ষ্য করিয়াছেন। কিন্তু বাহিরের এই সমস্ত বিবরণ বা মতামত অপেনাদের সম্পূর্ণভাবে অবহেলা করিতে হইবে। আপনাদের সম্মুখে উত্থাপিত সাক্ষ্য ও দলিলের উপর ভিত্তি করিয়াই আপনাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে।

 “গোড়াতেই সমগ্র বৃটিশ ও ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের মূল নীতির দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে চাই। সেই মূল নীতি হইতেছে এই যে, প্রত্যেকটি আসামীর অপরাধ প্রমাণ করিবার দায়িত্ব, আসামীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি অভিযোগ এবং তাহাদের সম্বন্ধে আরোপিত প্রত্যেকটি ঘটনা প্রমাণ করিবার দায়িত্ব বাদী পক্ষের। সাক্ষ্য প্রমাণাদি দ্বারা বাদীপক্ষেরই আসামীদের অপরাধ সম্পর্কে আপনাদের সন্তুষ্ট করিতে হইবে।

 “বড় বা ছোট যে কোন প্রশ্ন সম্পর্কে যখনই কোন সন্দেহের কারণ উপস্থিত হইবে, তখনই আসামীদের অনুকুলে যায় এমন ভাবে তাহাদের সমাধান করিতে হইবে। অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকার প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে উপস্থিত সাক্ষ্যের সারমর্শ প্রদান করিয়া কর্ণেল কেরীণ বলেন, “আসামী পক্ষ হইতে আন্তর্জ্জাতিক আইন উল্লেখ করিয়া বলা হইয়াছে যে, নিম্নলিখিত ঘটনাগুলি নির্দ্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হইয়াছে।

 অস্থায়ী সরকার যথারীতি আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল এবং ইহার