পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২০৯

 “আপনাদের সম্মুখে যে সমস্যা রহিয়াছে সে সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত করিবার সময় আন্তর্জ্জাতিক আইনের বিধানসমূহের বিবেচনা করিবার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সামরিক আইনে অভিযুক্ত ভারতীয় বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত ভারতীয় অফিসারের বিচার সম্বন্ধে আপনাদিগকে বিবেচনা করিতে হইবে। কারণ ভারতীয় সামরিক আইন ও বৃটীশ ভারতে প্রচলিত আইনানুসারে ন্যায় বিচার করাই আপনাদের প্রধান কর্ত্তব্যের মধ্যে গণ্য।”

 “আসামী পক্ষ জোরের সহিত সওয়াল করিয়াছে যে এই সকল বিষয়ে ন্যায় বিচার করিবার জন্য ইংলণ্ডের আদালতসমূহ আন্তর্জ্জাতিক আইন মানিয়া চলিতে বাধ্য। আসামী পক্ষের মূল বক্তব্য হইতেছে যে হয় এই আন্তর্জ্জাতিক আইনসমূহ সকল রাষ্ট্রের অনুমোদন লাভ করিয়াছে, না হয় অন্ততঃ পক্ষে এই দেশে স্বীকৃত হইয়াছে ও এদেশের আইনের অঙ্গীভূত হইয়াছে। এক্ষেত্রেও ন্যায় বিচারের জন্য এই আদালতকে আন্তর্জ্জাতিক আইনের বিধানগুলি বিবেচিত করিতে হইবে। ইংলণ্ড অথবা ভারতের আদালতসমূহ উক্ত আন্তর্জ্জাতিক আইন মানিয়া চলিতে বাধ্য কি না তাহা আপনারাই বিচার করিয়া দেখিবেন। ফরিয়াদী পক্ষ অবশ্য বলিয়াছেন, বৃটেন ও পরাধীন জাতির মধ্যে আন্তর্জ্জাতিক বিধান খাটিবে না কারণ বৃটেনের আইন ইহা অনুমোদন করেনা।

 “আসামী পক্ষ বলিয়াছেন যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯ ধারা অনুসারে আসামীগণের কার্য্য আইনানুমোদিত। আসামীপক্ষের মতে “আইনানুমোদিত” অর্থে আন্তর্জ্জাতিক আইনানুমোদিত। কিন্তু আসলে এক্ষেত্রে আইন বলিতে বৃটিশ ভারতে প্রচলিত আইনই বুঝিতে হইবে।”

 “ফরিয়াদী পক্ষ বলিয়াছেন যে, কমিশনপ্রাপ্ত ভারতীয় অফিসার হিসাবে ও প্রজা হিসাবে আসামীগণ রাজার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করিতে বাধ্য। উক্ত আনুগত্য ভঙ্গ করিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারা অনুসারে রাজার বিরুদ্ধে