পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২২৫

এবং অমৃতসরের রাস্তায় রাস্তায় প্রকাশ্য ভাবে যখন ছাত্রদের উপর বেত্রাঘাত করা হইল, তাহার জন্যও ত কোন সামরিক আদালত বসে নাই। কিছুদিন কলিকাতার রাস্তায় গুলী করিয়া ব্রিটিশ সৈন্য কতকগুলি নিরীহ পথচারীকে হত্যা করিয়াছে।

 উপসংহারে কৌসুলী বলেন, উপরোক্ত ঘটনা সমূহের জন্য কোনও সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, আর ভবিষ্যতে হইবেও না। গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করিয়াই ঐরূপ করা হইয়াছে। কাজেই এই মামলাতেও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করা উচিত।

 আসামীদের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগ আনায়ন করা হয়:—

 (১) আসামীদ্বয় এক অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসাবে সম্রাটের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিয়াছিলেন এবং ক্রাঞ্জি বন্দী শিবিরের লোকজনদের উপর—বলপ্রয়োগ করিবার আদেশ প্রদান করিয়াছিলেন।

 (২) আসামী কতকগুলি লোককে নির্দ্দিষ্ট শিবিরে গমন করিতে এবং বলপূর্ব্বক আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিতে বাধ্য করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিয়াছিলেন।

 (৩) আসামীরা নিরস্ত্র লোকজনদের উপর আদেশ অমান্যের অজুহাতে তাহাদের উপর গুলীবর্ষণ করিয়াছিলেন।

 এতদ্ব্যতীত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রহারের অভিযোগও আনীত হয়। সামরিক আদালতের বিচারে সুবেদার সিঙ্গারা সিং ও জমাদার ফতে খাঁ প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। প্রধান সেনাপতি প্রাণদণ্ড মকুব করিয়া তাহাদের উভয়কেই ১৪ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ইহার পর সৈনিকদ্বয়কে দিল্লী ক্যাণ্টনমেণ্টের কাবুল লাইন হইতে বিমান যোগে এক অজ্ঞাত স্থানে লইয়া যাওয়া হয়।