পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

ক্যাপ্টেন আবদুর রসিদের বিচার।

 আজাদ হিন্দ ফৌজের বিচার সম্পর্কে গঠিত চতুর্থ সামরিক আদালতে ক্যাঃ আবদুর রসিদের বিচার হয়। ইনি পূর্ব্বে বৃটিশ ভারতীয় বাহিনীর চতুর্দ্দশ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের ক্যাপ্টেন ছিলেন। সামরিক আদালতের বিচারে তাহার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত সাত দফা অভিযোগ করা হয়।

 (১) তিনি ১৯৪২ সালের আগষ্ট মাসে সিঙ্গাপুর নৌঘাঁটিতে জাপানী সার্জ্জেণ্টকে সিপাহী জমসের খাঁয়ের উপর মারপিট করিতে প্ররোচিত করেন (২) ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাস হইতে ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাস পর্য্যন্ত সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছিলেন। (৩) ডেগরা রেজিমেণ্টের জনৈক নায়ক প্রথম ভাওয়ালপুর পদাতিক বাহিনীর লেঃ কাদের শাহকে স্বেচ্ছায় গুরুতররূপে আহত করে এবং ক্যাঃ রসিদ সেই কার্য্যে সহায়তা করেন। (8) জমাদার মোহম্মদ নওয়াজ নামক অপর একজন সৈন্যকে আহত করার ব্যাপারেও আসামী দুষ্কৃতিকারীদের সহায়তা করেন। (৫) তিনি ও অপর দুইজন ৪।১৯ হায়দ্রাবাদ রেজিমেণ্টের হাবিলদার রামভিখকে লাঠির দ্বারা প্রহার করেন। (৬) সিঙ্গাপুরে তিনি ১।১৪শ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের সিপাহী সরীফউল্লাকে প্রহার করেন। (৭) ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসের কাছাকাছি সময়ে তিনি বিদাদরিতে হাবিলদার কেরানী তাজ মোহম্মদ খাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধিয়া বাখেন এবং অজ্ঞান হইয়া না যাওয়া পর্য্যন্ত তাহাকে সেইখানে সেই ভাবেই রাখেন।

 ক্যাপ্টেন রসিদ সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেন।

 ১৮ই জানুয়ারি ক্যাপ্টেন আবদুর রসিদের বিচারকারী সামরিক আদালতের পুনরাধিবেশনে রক্ষা পরিষদের পক্ষ হইতে মিঃ আবদুল আজিজ সরকারী সাক্ষী মিঃ নুর মহম্মদকে প্রায় বিশ মিনিট ধরিয়া জেরা করেন। সাক্ষী জেরার উত্তরে ক্যাঃ রসিদের বিরুদ্ধে প্রহারের অভিযোগ করে। অপর