পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ১৯৪৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী সামরিক আদালতে আজাদ হিন্দ ফৌজের চতুর্থ সামরিক আদালতের মামলা সমাপ্ত হয়। ১৪শ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের ক্যাপ্টেন ও পরে আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন আবদুর রসিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করিয়া এক ঘোষণা করা হয় যে, প্রধান সেনাপতি এই দণ্ড অনুমোদন করেন এবং দণ্ডকাল হ্রাস করিয়া ইহাকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তাঁহার বেতন ও ভাতা বাতিল করার দণ্ডও প্রধান সেনাপতি অনুমোদন করেন। আসামীর বিরুদ্ধে আনীত সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

 প্রথম আজাদ হিন্দ ফৌজ মামলায় ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ ও অপর দুইজন আসামীর প্রতি প্রদত্ত কারাদণ্ড কেন মকুব করা হইল এবং ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হইল, তাহার কারণ বর্ণনা করিয়া সরকার পক্ষ হইতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ মার্জ্জনা করা অসঙ্গত নহে, কিন্তু গভর্ণমেণ্ট, সভ্যতা বিরোধী জাজ্বল্যমান ঘৃণ্য কাজ ক্ষমা করিতে পারেন না; কারণ তাহাতে একেবারে সমাজের নৈতিক ভিত্তিকেই ক্ষুণ্ণ করা হইত। ক্যাপ্টেন আবদুর রসিদ উক্ত অপরাধে অপরাধী, সুতরাং তাঁহাকে ক্ষমা করা যায় না।

জমাদার পুরণ সিংএর বিচার

 পঞ্চম সামরিক আদালতে আজাদ হিন্দ ফৌজের জমাদার পূরণ সিংএর বিচার হয়। গত ৭ই মার্চ্চ সামরিক আদালত জমাদার পূরণ সিংকে একাধিক দোষে অপরাধী সাব্যস্ত করিয়া তাঁহার নথিপত্র তলব করে।

 সরকার পক্ষের কৌঁসুলী ক্যাপ্টেন নরিন্দর বাইন আসামীর চরিত্র সম্পর্কে বলেন যে, আসামী ওয়াজির স্থানে থাকাকালে কার্য্যে দক্ষতা প্রদর্শন করিয়া