পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৩৩

নিযুক্ত হন। লেঃ জি এস ধীলনও দেরাদুনে ইণ্ডিয়ান মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষা গ্রহনান্তে ১৯৪০ সালের এপ্রিল মাসে রেগুলার কমিশন প্রাপ্ত হন। লেঃ ধীলন ১৯১৫ সালের ৪ঠা এপ্রিল লাহোর জেলার আলগনে জন্মগ্রহন করেন।

সরকার পক্ষের অভিযোগ

 সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধোদ্যমের প্রথম অভিযোগের উল্লেখ করিয়া স্যার নাসেরওয়ানজী বলেন যে, যুদ্ধ ঘোষণার পিছনে কি মনোবৃত্তি কার্য্য করিয়াছিল, তাহা ধর্তব্যের মধ্যে নহে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যাহাকে দেশাত্মবোধ বলিয়া অভিহিত করেন, তাহার প্রেরণাতেই হউক বা অর্থের খাতিরেই হউক, তাঁহারা যাহা করিয়াছেন আইনের দৃষ্টিতে তাহা অপরাধ। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সর্বময় ও সর্বাবস্থায় সম্রাটের প্রতি অনুগত থাকিতে বাধ্য। তাঁহারা যেখানেই থাকুন না কেন, এই আনুগত্য তাঁহারা ক্ষুণ্ণ করিতে পারেন না। এমন কি যুদ্ধবন্দী থাকাকালেও তাঁহারা এই আনুগত্যের বন্ধনে আবদ্ধ।

 স্যার এন পি এঞ্জিনিয়ার অতঃপর বলেন—“অভিযুক্তরা তথাকথিত আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসার ও যোদ্ধারূপে সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ প্রধানতঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈন্যদের লইয়া গঠিত। নিম্নলিখিত বিভিন্ন অংশ লইয়া এই বাহিনী গঠিত হয়।

 (১) হেডকোয়াটর্স, (২) হিন্দুস্থান ফিল্ড গ্রুপ, (৩) শার্দূল গেরিলা দল, (8) স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ, (৫) সংবাদ-সংগ্রাহক দল, (৬) সংরক্ষিত সেনাদল।

 প্রথম হিন্দুস্থানী ফিল্ড গ্রুপ এইগুলি লইয়া গঠিত ছিল:—হেডকোয়াটার্স, ১, ২ ও ৩নং পদাতিক বাহিনী আই এ এফ সি বাহিনী, একটি ভারী কামান বাহিনী, ১নং ইঞ্জিনিয়ার দল, ১নং সাঙ্কেতিক সংবাদ আদান-প্রদানকারী দল, ১নং চিকিৎসক বাহিনী ও ১নং টি পি টি কোম্পানী। শার্দূল গেরিলা বাহিনী,