পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

১৯৩৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি বিমানবহরে কমিশন লাভ করেন। জাপানের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার সময় তিনি পেনাংয়ে ছিলেন। সেখান হইতে তিনি সিঙ্গাপুরে যান। ১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সিঙ্গাপুরে বিমান হানায় তিনি আহত হন। তাঁহাকে হাসপাতালে পাঠান হয় এবং তথা হইতে তাঁহাকে একটি যুদ্ধ বন্দিশিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে থাকার সময় “বৃটিশ শাসন হইতে ভারতের মুক্তির জন্য সংগ্রাম চালাইবার” উদ্দেশ্যে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের আন্দোলন চলিতেছে বলিয়া শুনিতে পান। ১৯৪২ সালে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের সহিত তাহার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সে সময় সাক্ষী তাহার চক্ষু পরীক্ষা করাইয়া চশমা লওয়ার জন্য চেষ্টা করিতেছিলেন।

 লেঃ নাগ অতঃপর বলেন যে, আজাদ হিদ ফৌজের নেতৃবৃন্দ যখন জানিতে পারিলেন সে অসামরিক জীবনে তিনি একজন ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন, তখন তাহারা তাঁহাকে আজাদ হিন্দ ফৌজের আইন বিভাগে নিযুক্ত করেন। আইন বিভাগে কাজ করার সময় তিনি ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর আইন প্রণয়ন করেন।

 স্যার এন পি ইঞ্জিনিয়ার আজাদ হিন্দ ফৌজের জেনারেল অফিসার কম্যাণ্ডিং মোহন সিংহের কয়েকটি নির্দ্দেশনামা পাঠ করেন। ঐগুলি ১৯৪২ সালে প্রদত্ত হইয়াছিল। উহা দ্বারা অভিযুক্ত ব্যক্তিত্রয়কে উচ্চপদে উন্নীত করা হয়। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাপতিমণ্ডলীর অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন এম জেড কিয়ানীর একটি নির্দ্দেশনামাও পাঠ করেন। উক্ত নির্দ্দেশনামায় ভারতীয় যুদ্ধ বন্দীদের ভিতর হইতে একটি বাহিনী সংগঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হইয়াছে।

 লেঃ নাগ বলেন যে, হিন্দুস্থান ফিল্ডগ্রুপ, গেরিলা গ্রুপ, স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপ, ইনটেলিজেন্স গ্রুপ এবং সংরক্ষিত দল লইয়া আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত। তিনি বলেন যে, ১৯২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যসংখ্যা ছিল দশ হাজার।

 শ্রীযুত ভুলাভাই দেশাই: আমি জানিতে চাহি, সাক্ষী কি এ সম্বন্ধে সঠিক