পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৫১

তথ্য রাখেন, কিম্বা ইহা তাহার অনুমান মাত্র। লেঃ নাগ বলেন যে, তিনি সরকারীভাবে অবশ্য উহা জানেন না। মোটামুটি সাধারণ জ্ঞান হইতে তিনি ঐ সংখ্যার কথা বলিতেছেন।

 শ্রীধুত দেশাই: আমি শুধু এইটুকু চাহি যে আপনি নিজে যাহা জানেন, তাহার সহিত অপরের নিকট শোনা কথা জড়াইয়া ফেলিবেন না। আরও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরে লেঃ নাগ আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যরা যে সকল অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করিত, তাহার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন যে, রাইফেল, সঙ্গীন, পিস্তল কতকগুলি সাজোয়া গাড়ী ও সৈন্যবাহী গাড়ী, ইহাই ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের অস্ত্রশস্ত্র। এইগুলির কিছুই জাপানীদের নহে, সমস্তই বৃটিশদের। তাহাদের পোষাক ভারতীয় সৈন্যদের অনুরূপ। আজাদ হিন্দ ফৌজের স্বতন্ত্র ব্যাজ ছিল। কতকগুলি ব্যাজ সাক্ষ্য হিসাবে আদালতে প্রদর্শিত হয়।

 ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘের কর্মপরিষদের সদস্যদের সম্পর্কে লেঃ নাগ বলেন যে, শ্রীযুত রাসবিহারী বসু উহার সভাপতি ছিলেন। মিঃ মেনন, মিঃ রাবেন ও মিঃ বোহা উহার অ-সামরিক সদস্য এবং ক্যাপ্টেন মোহন সিং, লেঃ কর্ণেল গিলানী ও লেঃ ভোসলে সামরিক সদস্য ছিলেন। ১৯৪২ সালে আজাদ হিন্দ ফোজের একটি দলকে ব্রহ্মে প্রেরণ করা হয়। ১৯৪২ সালে ডিসেম্বর মাসে ক্যাপ্টেন মোহন সিং জাপানীগণ কর্তৃক ধৃত হন এবং তিনি যে নির্দ্দেশ রাখিয়া যান, তদনুসারে আজাদ হিন্দ ফৌজ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয়। ইহার অত্যল্পকাল পরে লেঃ কর্ণেল ভোসলেকে চেয়ারম্যান করিয়া ক্যাপ্টেন কিয়ানী লেঃ কর্ণেল লোকনাথনও মেজর প্রকাশচাঁদকে সদস্যরূপে গ্রহণ করিয়া একটি পরিচালক কমিটি গঠিত হয়।

 ইহার পর আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসার ও সৈন্যদের মতামত নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতাদির আয়োজন করা হয়। সাক্ষী কয়েকবার লেঃ কর্ণেল