পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৬৩

 লেঃ নাগ কর্ত্তৃক উপস্থাপিত আর একটি দলিলে বলা হইয়াছে যে, বৃটিশ ও মার্কিণ সৈন্য বন্দী করা কিংবা নিহত করার ব্যাপারে যে বিশেষ শৌর্য প্রদর্শন করিবে তাহাকে ‘শত্রু বিনাশ’ নামে একটি পদক দেওয়া হইবে। ইহা ছাড়াও যাহারা ভারতের স্বাধীনতার শত্রু সৈনিক ব্যতীত অন্যান্য বৃটিশ ও আমেরিকানদের ভারতে কিংবা ভারতের বাহিরে হত্যা অথবা জীবন্ত বন্দী করিতে পারিবে তাহাদিগকেও এই পদক দেওয়া হইবে।

 সাক্ষী ১৯৪৪ সালের ৩০শে অক্টোবর লেঃ কঃ আজিজ আহমেদ খাঁ কর্ত্তৃক প্রকাশিত আরও একটি নথি পেশ করেন। ইহাতে ‘মিলিটারী সেক্রেটারী ক্যাপ্টেন সেহ্‌গলের নির্দেশক্রমে’ সমরোদ্যম আরও ব্যাপক করিবার জন্য অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের একটি সমর পরিষদ গঠনের কথা বলা হইয়াছে।


কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতকদের তাড়াইবার ব্যবস্থা

 ১৯৪৫ সালের ১৩ই মার্চ তারিখে শ্রীযুত সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের লোকদের মধ্য হইতে কাপুরুষতা ও বিশ্বাসঘাতকতা সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ করিবার জন্য কি কি ব্যবস্থা অবলম্বন হইবে তাহার নির্দেশ দিয়া একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। বিজ্ঞপ্তিতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের আজাদ হিন্দ ফৌজ ছাড়িয়া যাইবার অনুমতি দেওয়া হয়। এই অনুমতি এক সপ্তাহকাল থাকার পর কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতকদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে। এইভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজ পুনর্গঠিত হইবার পর ইহার প্রত্যেক ব্যক্তিকে মাতৃভূমির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সাহসের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য পুনরায় সঙ্কল্প গ্রহণ করিতে হইবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়— ‘ইহার পর হইতে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেকে আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং ভারতের মর্য্যাদা ও সুনাম রক্ষাকারী বলিয়া মনে করিবে।’ যাহারা কাপুরুষ এবং বিশ্বাসঘাতক লোকেদের সন্ধান