পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डां ७ कां का 2 इ ७ झ 2ों ब्र বেঁচে যারা আছে তারাও জীবন্ত নয়। খুব বেশী জীবন্ত কোনদিনই ছিল না, কিন্তু যে-টুকু ছিল তাতেই দলাদলি ঝগড়াঝাঁটি পূজাপার্বনে উৎসব। এমন কি সময় সময় মারামারি কাটাকাটিও করেছে গায়ের লোক। আজ সকলে ধীর স্থির শান্ত সুবোধ মানুষ-চোখে হতাশার পর্দা, চলনে হতাশার ভঙ্গি, কথায় হতাশার লম্বা টান, প্রতিটি মানুষ যেন—আর কেন, কি আর হবে, সব মায়া, মরা ভাল ইত্যাদির ক্ষীণ প্রাণবন্ত প্রতীক। ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়া আর প্যাচড়া। এত ব্যাপক না হলেও অন্য রোগেরও ছড়াছড়ি । এমন প্যাচড়া গোপাল জীবনে কখনো দ্যাখেনি। যা’কে ভাল করে ধরেছে তার হাড়ে লাগানো মাংসচুকু পর্য্যন্ত যেন খসে খসে পড়ছে। গফুর আর বনমালীকে দেখে প্রথমে সে ভেবেছিল এ বুঝি কুণ্ঠ বা ওই ধরণের কোন ব্যারাম। ভূষণের কাছে সে রোগের নামটা শুনল। ভূষণের হাতে ও পায়ে প্যাচড়া হয়েছে। , ভূষণ গোপালের মামা। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে কিন্তু আরও বুড়ো দেখায়। একটি ছেলে আর তিনটি মেয়ে। সামান্য কিছু লেখাপড়া শিখেছিল, জোতদার কানায়ের কাছে বিশ বাইশ বছর কাজ করার অবসরে সব আবার ভুলে গেছে। ‘কাজ ? না, কাজ নেই। অসুখে ভুগলাম দু’মাস, তারপর হাতে পায়ে হল এই প্যাচড়া। ভাগিয়ে দিয়েছে।” আজ শুধু বুড়ো নয়, ভূষণকে কেমন অদ্ভত দেখায়। মাটির ভঙ্গিটা পাছ-পেতে-বসা বুড়ো ভালুকের মত। থ্যাবড়া মুখটা এমন yr