পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭০-৭২] বিরাজমোহিনীর পিতৃমাতৃবিয়োগ ও কলিকাতায় আগমন ১৮৭ দেখিবেন, ও তঁহাদের সঙ্গে নানা হিতকর বিষয়ে আলাপ করিবেন। কুমারী পিগট কেশব বাবুকে ভালবাসিতেন ও শ্রদ্ধা করিতেন ; এই অনুরোধ করিবামাত্র তিনি আসিতে লাগিলেন। একদিন মহিলাদের সহিত অপরাপর কথার মধ্যে কুমারী পিগট বলিলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যাহারা খ্রীষ্টীয় ধর্ম্ম গ্রহণ না করে তাহাদের অনন্ত নরকবাস হইবে।” আচার্য্য-পত্নী সেখানে উপস্থিত ছিলেন ; তিনি শুনিয়া চমকিয়া উঠিলেন ; বলিলেন, “ওমা সে কি গো ! যে সরলভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না, । তার সাজা অনন্ত নরকবাস ?” কুমারী পিগট বলিলেন, “হা, আমাদের ধর্ম্মে তাই বলে। এমন কি তােমার পতিও যদি খ্রীষ্টীয় ধর্ম্মে দীক্ষিত না। नि, র্তার ভাগ্যেও নরকবাস ।” এই কথা শুনিয়া আচার্য্য-পত্নী গম্ভীর চূর্ত্তি ধারণ করিলেন ; তার চক্ষে দীর দর ধারে অশ্রু পড়িতে লাগিল ; কিয়ৎক্ষণ পরেই তিনি উঠিয়া নিজ গৃহে গেলেন। তৎপরে কুমারী গেটের নিকট আসা ত্যাগ করলেন। আমরা ' বুঝাইয়া আনিতে রিলাম না ; কেশব বাবুও নিজে বুঝাইয়া রাজি করিতে পারিলেন না। টনি বলিলেন, “কুমারী পিগটের মুখ আর দেখােব না।” কত বলা গেল, খ্রীষ্টিয়ান ধর্ম্মে যাহা আছে তাহাই তিনি বলিয়াছেন ; কেশব বাবুর প্রতি । পী প্রকাশের জন্য কিছু বলেন নাই।” তখন শুনিলেন না। কিছুদিন রে বোধ হয় কুমারী পিগটের সহিত পুনর্মিলিত হইয়াছিলেন। বিরাজমোহিনীর পিতৃমাতৃবিয়োগ ও কলিকাতায় আগমন - তিমধ্যে আমার পারিবারিক জীবনে এক সুমহৎ পরিবর্তন উপস্থিত লৈ। আমার দ্বিতীয় পত্নী বিরাজমোহিনীকে আনিতে হইল। ইহার ই বৎসর পূর্বে তাহার পিতা भांडा उाझे उन्ौि ०ड्रक्रि गभूव्र अश्रुांग তি হন। তিনি একাকিনী তাহার পিতৃব্যগণের গলগ্রহ হন। তদনন্তর পিতৃর্য মহাশয় আসিয়া তাঁহাকে আনিবার জন্য আমাকে এহের সহিত অনুরোধ করেন। . আমি তঁহার পুনরায় বিবাহ দিবার