পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8-9 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২য় পরিঃ গেলাম, "এ কি পাখী ?” নিমগ্নচিত্তে তাহার প্রত্যেক গতিবিধি লক্ষ্য করিতে লাগিলাম। ওদিকে পোলবন্দী সাহেবের হাতী আসিতেছে। মাহুত চেচাইতেছে, পাড়ার লোকেরা। “ওরে অমুকের ছেলে, মলি মলি, পালা পালা|” বলিয়া চেচাইতেছে। আমার সোদকে খেয়াল নাই ; কানে একটা আওয়াজ আসিতেছে মাত্র, কিন্তু সম্পূর্ণ চেতনা হইতেছে না ; এমন সময় হঠাৎ দেখি হাতী, শুড় দিয়া আমাকে ধরিবার চেষ্টা করিতেছে। মাহুত বোধ হয় আমাকে সরাইয়া দিতে ইঙ্গিত করিতেছে। হাতীর শুড় দেখিয়াই ভয়ে চীৎকার করিয়া সবিয়া গেলাম। কারণানুসন্ধিৎসা -আমি যে কি? দেখিলেই এত মনোযোগী হইতাম, তাহার কারণ বোধ হয় এই যে, শৈশব হইতেই আমার কারণানুসন্ধিৎসা বড় প্রবল ছিল। মায়ের মুখে শুনিয়াছি যে, আমি দাড়াইতে ও কথা কহিতে শিখিলেই সকল বিষয়ে কেন কেন বলিয়া তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিতাম। যথা, তাহার কোলে চড়িয়া আর-এক পাড়ায় নিমন্ত্রণে যাইতেছি, হঠাৎ পথে একটি নূতন গরু দেখিলাম। অমনি প্রশ্ন-ও কাদের গরু ? উত্তর-পুটেদের গরু। প্রশ্ন- এখানে কেন রেখে গেছে ? উত্তর-ঘাস থাবে বলে। প্রশ্ন-কেন ঘাস খাবে ? উস্তুর-ক্ষিদে পেয়েছে বলে। প্রশ্ন-কেন ক্ষিদে পেয়েছে ? উত্তর—সমস্ত বাত কিছু খায়নি বলে। প্রশ্ন-কেন খায়নি ? উত্তর-ওরা রাত্রে গরুকে জাবনা দেয় না বলে । প্রশ্ন—কেন রাত্রে জাবনা দেয়না ? উত্তর-ওরা গরীব বলে। প্রশ্ন – গরীব কাকে বলে ? ইত্যাদি। সময়ে সময়ে এই কেন’র মাত্রা এত অধিক হইত । যে উত্তরের পরিবর্তে চপেটাঘাত পাইতাম। এই কারণানুসন্ধান-এ বৃত্তি হইতেই বোধ হয়, পীপড়ে ও পাখীর গতিবিধি এত লক্ষ্য করিতাম। বিড়ালছানা পোষা।--কেবল যে পাখী ভালবাসিতাম, তাহা নহে, অন্যান্য জন্তুও পুষিতাম। বিড়ালছােনা আনিয়া উন্মাদিনীকে দিতাম, সে পুষিত। অনেক সময়ে আমাদের উভয়ের অতিরিক্ত প্রেমবশতঃ তাহাদের 施