পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sr 8 o শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ' [ ১১শ পত্মিঃ ঐ দলে প্রবেশ করিতে প্রস্তুত হইলাম। এক দিন বিশেষ উপাসনার। দিন স্থির হইল। ঐ দিন বিশেষ উপাসনানন্তর প্রতিজ্ঞা পত্রে স্বাক্ষর - করিয়া, আগুন জালিয়া, ঈশ্বরের নাম লইতে লইতে তাহ প্রদক্ষিণ পূর্বক, আমরা ঐ অগ্নিতে আমাদের নিজ নিজ নাম অৰ্পণ পূর্বক, প্রার্থনানন্তর প্রতিজ্ঞা পত্র পুনরায় পাঠ করিয়া স্বাক্ষর করিলাম। সুখের বিষয় যে, ইহার পর আমি ও ঐ দলের আর এক জন গবর্ণমেণ্টের চাকুরী পরিত্যাগ করি, এবং সেই সকল প্রতিজ্ঞ চিরদিন পালন করিয়া আসিতেছি। বিপিনচন্দ্র পাল, সুন্দরীমোহন দাস, আনন্দচন্দ্র মিত্র প্রভৃতি ব্রাহ্ম বন্ধুগণ ঐ দলে ছিলেন। যত দূর স্মরণ হয়, ময়মনসিংহের শরচ্চন্দ্র রায়ও ঐ দিন উপস্থিত ছিলেন । যখন ইহারা ভগবানের নাম কীর্ত্তন করিতে করিতে আগুনের চারি দিকে ঘুরিয়া আসিতে লাগিলেন, তখন এক আশ্চর্য্য বল ও আশ্চর্য্য প্রতিজ্ঞা আমার মনে জাগিতে লাগিল। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে কুচবিহার বিবাহের আন্দোলন উঠিয়া, সেই ঝড়ে আমাদের ক্ষুদ্র দলটি বিপর্য্যস্ত হইয়া পড়িল। সে আন্দোলনে ইহারা সকলেই মহোৎসাহে কার্য্য করিয়াছিলেন । এই সময় হইতে আমার গবর্ণমেণ্টের চাকুরী ত্যাগ করিয়া ব্রাহ্মধর্ম্ম প্রচারে ও ব্রাহ্মসমাজের সেবাতে আপনাকে দিবার প্রবৃত্তি অতিশয় প্রবল হইল। কিন্তু সে চাকুরী ত্যাগ করিয়া অন্য চাকুরী লইবার ইচ্ছা আমার ছিল না। এ বিষয়ে আমি বন্ধুবর আনন্দমোহন বসু মহাশয়কে পরামর্শদাতা রূপে বরণ করিয়াছিলাম। আমার প্রচার কার্য্যে জীবন দেওয়ার বিষয়ে তঁাহার সম্পূর্ণ সায় ছিল, কিন্তু আমার একটা উপায় না করিয়া কর্ম্ম ছাড়া উচিত নয় বলিয়া তিনি বাধা দিতে ढनव्न् ि। কুচবিহার বিবাহে কেশবচন্দ্রের সন্মতি ও ব্রাহ্মদিগের মধ্যে উত্তেজনা।—এইরূপে কিছু দিন অতিবাহিত হইতে না হইতে