পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SYS, আদশ হিন্দী-হোটেল কাছে আমার ওভাবে যাওয়া হয় না। ও সবই টের পাবে যে আমরা আপীল করেছি, ওকেও নোটিশ দেবে কোম্পানী। আপীলের শােনানী হবে। তার, পর কি আর ওর কাছে যাওয়া যায় ? --না হয় না গেলে। ওরা দরকার নেই। যাতে ওর উচ্ছেদ হয় তাই কর। -रदभ, या बछ । 警 পরদিন যদি বড়িয্যের সঙ্গে বেচু চক্কত্তি কয়লাঘাটের রেলের বড় আফিসে যাইবে বলিয়া বাহির হইল এবং সন্ধ্যার পরে পনেরায় রাণাঘাটে, ফিরিল। বেচু যখন নিজের হোটেলে ঢাকিল, তখন খাওয়াদাওয়া আরম্ভ হইয়াছে। পদ্মাঝি ব্যস্তভাবে বলিল-কি হ’ল ক’তা ? বেচু বলিল-আর কি হ'ল! মিথ্যে যাতায়াত সার হল, দটাে টাকা বেরিয়ে গেল। তারা বল্লে-এ আমাদের হাতে নেই, টেন্ডার মঞ্জর হয়ে বোড়ের কাছে চলে গিয়েছে। a এখন আর আপীল খাটবে না। --তবে যাও, কাল হাজারির কাছেই যাও--তার দরকার নেই। বািড়য্যে মশায় আসবার সময় বল্লেন-ওঁর হোটেল আর আমার হােটেল এক সঙ্গে মিলিয়ে দিতে। এর ঘর ছেড়ে দিয়ে সামনের মাসে ওঁর ঘরেই- ܡܐ পদ্মাঝি বলিল-এ। কিন্তু খব ভাল কথা। ও ছোট লোকটার কাছেঃ না গিয়ে বাড়িয্যে মশায়ের সঙ্গে কাজ করা ঢের ভাল। পবরতী পনেরো দিনের মধ্যে রাণাঘাট রেল-বাজারে দাইটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটিয়া গেল। স্টেশনের আপ পলাটফমে নতুন হিন্দী-হোটেল খোলা হইল। শোবতা পাথরের টেবিল, চেয়ার, ইলেকট্রিক আলো, পাখা দিয়া সাজানো আধুনিক ধরনের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অতি চমৎকার হোটেলটি। হোটেলের মালিকেয়া সত্থানে হাজারির নাম দেখিয়া অনেকে আশ্চর্য হইয়া গেল। আর একটি বিশিষ্ট ঘটনা, বেচু চক্কত্তির পরানো হোটেলটি উঠিয়া যাইবে এমন একটা গজব রেল-বাজারের সবত্র রাটিল।