পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so ब्राच* इन्दु-८८ বেশী বয়স নয়। তাহাকে আসন করিয়া ভাত দিতে গিয়া হাজারি দেখিল ডেকচিতে যা ভাত আছে, তাহাতে দ’জনের কুলায় না। বংশীধরের ভাগিনেয়টি পল্লীগ্রামের স্বাস্থ্যবান ছেলে, নিশ্চয়ই দটি বেশী ভাত খায়एठाश्ाद्भई coा एछद्रिव किना नाम श् । হাজারি উহাকেই সব ভাতগালি বাড়িয়া দিল-ডাল তরকারি যাহা ছিল তাহাও দিল, সে খাইতে খাইতে বলিল-মাছ নেই ? --না। বাবা, মাছ সব ফরিয়ে গিয়েচে । আজ এখানকার হাটবার -বড় খন্দেরের ভিড়। মাছের টান, ডাল তরকারির টান, সবেরই টান। তোমার খাওয়ার বন্ড কাস্ট হোল বাবা, তা বোসো দােপয়সার দই আনিয়ে দিই। --না না থাক, আপনার দই আনাতে হবে না। --না। বাবা বসো ! বংশীধরের ভাগেন যা, আমার ভানেও তাই। পাশাপাশি হোটেলে এতদিন কাজ করাচি। হাজারি নিজে গিয়া দই আনিয়া দিল। ছেলেটি জিজ্ঞাসা করিল-- আচ্ছা মামা, এখানে কোন চাকরী খালি আছে ? --কি চাকরী বাবা ? s -এই ধরন হোটেলের রাঁধ নিগিরি কি এমনি। কাজের চেষ্টায় ঘরচি। এখানে কিছ হবে মামা ? মামা বলিয়া ডাকিতে ছেলেটির উপর হাজারির কেমন স্নেহ হইল। সে একটা ভাবিয়া বলিল—না বাবা, আমার সন্ধানে তো নেই, কিন্তু একটা কথা বলি। হোটেলের রাঁধ নিগিরি করতে যাবে কেন তুমি ? দিবি। সোনার চাঁদ ছেলে। এ লাইনে বড় কম্পট, এ তোমাদের লাইন নয়। পড়াশনা কািন্দর করেচ ? ছেলেটি অপ্রতিভের সরে বলিল-না মামা, বেশী করিনি। আমাদের গাঁয়ের ছাত্রবত্তি ইস্কুলের ফোথ ক্লাস পর্যন্ত পড়েছিলাম, তারপর বাবা মার গেলেন, আর লেখাপড়া হোল না। হঠাৎ একটা চিন্তা বিদ্যুতের মত হাজারির মনের মধ্যে খেলিয়া গেল চমৎকার ছেলেটি, ইহার সঙ্গে টোপির বিবাহ দিলে বড় সন্দের মানায়!..