[ ১৬৪ ] কাও করিয়া আমার প্রতি দোষারোপপুর্ব্বক লিখিয়াছেন যে “আমান্নবিবাদী গোস্বামী সাধারণনৈবেদ্য বর্ণিত প্রথম বচনে সাধারণনৈবেদ্যমধ্যে আমান্নের উল্লেখ থাকাতে নিজ পুস্তকে তাহার নামমাত্র গ্রহণ করেন নাই কেবল সক্ষমদিগের পক্ষে বিশেষ বিধি নিরূপক দ্বিতীয়বচনমাত্র উদ্ধত করিয়াছেন । ভাগবতের সহিত র্তাহার পরিচয় না থাকিলে উহা কথঞ্চিৎ উপেক্ষণীয় হইতে পারিত, জ্ঞাত বিষয়কে এরূপে পরিত্যাগ করা ধর্ম্মবিচারে কদাচ নির্দোষ বলা যায় না ইত্যাদি’ । আমি স্বরূপাখ্যানে নির্দেশ করিতেছি যে চন্দনোশীরকপূর ইত্যাদি শ্লোক হইতে অভ্যঙ্গোম্মদ ইত্যাদি শ্লোক পর্য্যন্ত, এই ছয়টি শ্লোক মধ্যে কোনও শ্লোকেই আমান্ন নৈবেদ্য বোধক এমন কোনও পদ নাই এবং ঐধরস্বামী, শ্রীমধুসূদন সরস্বতী, ত্রজীবগোস্বামী, শ্রীবিশ্বনাথ চক্রবর্তী, ঐবিজয়ম্বুজ এবং দীপকদীপিকানামক টিপনীকার ঐরাধারমণ দাস গোস্বামী প্রভূতি মহামান্য মহাশয়দিগের ঐ সকল শ্লোক ব্যাখ্যায় এমন কোনও লেখ নাই যাহাতে “সাধারণ নৈবেদ্য মধ্যে আমান্নের উল্লেখ থাকা” দেখিতে পাইব বা অনুমানে ঐরূপ তাৎপর্য্য বুবিয়া লইব । আর গন্ধ ও পুষ্পের পর, এবং ধূপ দীপু ও নৈবেদ্যের পূর্ব, “অক্ষুতানু” এই পদ দেখিয়া রাজস-ভাস-দ মহাশয়দের অভিলষিত ভাবার্থের অনুসারে কিরূপেই বা “অক্ষতা " পদে আতপতঙুল ব্যাখ্যা করিতে পারি এবং মহামান্য ছয় জন টীকাকারসম্মত “পাদ্যমাচমনীয়ঞ্চ গন্ধ সুমনস্যেক্ষতাম্ব”