পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

সংবাদপত্রে এস্ ডি ও’র বিরুদ্ধে খবর লেখায় কি একটা গণ্ডগোলে তাঁকে দেওঘর স্কুলের কাজ ছেড়ে আসতে হয়, তারপর থেকেই তিনি হিতবাদীর সহ-সম্পাদক।

 আমার কৈশোর ও যৌবনের উদ্বেল আশারঙীন প্রাণের অলিতে গলিতে ঘুরতো তাঁর সশস্ত্র অর্দ্ধ উলঙ্গ মাউলী সেনা নিয়ে এই দুব্বার পার্ব্বত্য বীর শিবাজী। আমিও এই পতিত পরাধীন বাঙলার রাজমহল গিরিমালায় একদিন বাঙলার রাণা প্রতাপ হয়ে ঘুরবো এই সপ্ন ছিল আমার সব চেয়ে বড় স্বপ্ন। কবিতায় শিবাজী শীলা মহাকাব্য লেখাও ছিল আর একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই সময়ে আমি ‘কুন্তলীন’ পুরস্কারে একটি গল্প লিখে পাঁচ টাকা পুরস্কার পাই, গল্পটি পুরস্কার বইএ ছাপা হয়ে বেরোয়। ‘সখা ও সাথী’তে ধাঁধার উত্তর দিয়ে নাম ছাপানর চেষ্টা তখন একটা বাতিকের মত আমাদের পেয়ে বসে থাকতো।

 যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি তখন হরিচরণ সেন দেওঘরের ছিলেন সরকারী ডাক্তার! তাঁর ছেলে সুরেন সেন, শচীন সেন এম্ এ ও বি এ পড়তেন, ছুটিতে দেওঘরে আসতেন। শৈলেন পড়তো আমার নীচের ক্লাসে, তার সঙ্গে হয় আমার রোমাণ্টিক বন্ধুত্ব। একজন আর একজনকে ছেড়ে দুদণ্ড চোখের আড় করে থাকতে পারতুম না। তার মধ্যে আমার ভালবাসাই ছিল খুব কবিত্ব ভরা ও নিঃস্বার্থ, কারণ শৈলেন ছিল বয়সে আমার অনেক ছোট ও অপরিপক্ক। কত যে চিঠি তাকে এই দু’বছর ধরে লিখেছি! বোমার মামলায় আমি ধরা পড়ার পর

১১৭