পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

বলছে, আমাদের অবচেতনা বা ঊর্দ্ধচেতনায় এমন সব অলৌকিক শক্তি ও বৃত্তি আছে যার প্রকাশে অসম্ভব সম্ভব হতে পারে। টেলিপ্যাথি ও টেলিভিশন যখন আজ প্রায় সর্ব্ববাদী সম্মত ব্যাপার তখন ঐ ধরণের আরও কতনা বিচিত্র কাণ্ড থাকতে পারে এই অখণ্ড চৈতন্যময় জগতের গোপন স্তরে স্তরে।

 শ্রীঅরবিন্দের ‘Yoga and its Objects’ বইখানা তাঁর নিজের লেখা নয়, তিনি পেন্সিল ধরতেন আর এক অদৃশ্য শক্তি এসে লিখে যেত; রামমোহন রায়ের নামে এই ভাবে আগাগোড়া বইখানি পাওয়া গিয়েছিল; যখন এই ঘটনা ঘটে তখন অবশ্য আমি আন্দামানে। বরোদায় আমরা যত জন বসতুম তার মধ্যে সেজদা ও আমার হাতেই এইভাবে লেখা আসতো বেশী। একদিন স্বয়ং তিলক এসে নানা প্রশ্ন করে যান, তখন আমার হাতে পেন্সিল ছিল। তার আগের দিন একজন দূরদেশবাসী মারাঠার মৃতা আত্মীয়া এসে সেই মারাঠা ভদ্রলোককে বলে গেছিল তাঁদের পৈতৃক বাসভবন কোথায় কি ভাবে ভাঙা ও বাড়ানো কমানো হয়েছে; প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে সেগুলি হুবহু মিলে গেছিল।

 প্রতিদিন আমরা কি একটা যেন নেশা ও ঝোঁকের মাথায় দু’তিন ঘণ্টা ধরে এই কার্য্য করতুম এবং সেই দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে কত রামকৃষ্ণ, ফাদার দামিয়ন, কৃষ্ণদাস পাল, কত মৃতা ভূতযোনিপ্রাপ্তা পিসী মাসী, ঠাকুরদা, বন্ধু বান্ধব এসে দেড় টাকার প্ল্যাঞ্চেটের প্রসাদাৎ আমাদের সঙ্গে আলাপ আপ্যায়ন

১৭৫