পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

বলে পাগলী মা আমার এক উদ্ভট বাইবেলী নাম রাখলেন ইম্যানিউয়েল ম্যাথিউ ঘোষ। ক্রয়ডনের বার্থ্ রেজেষ্ট্রী অফিসে লিখলে এখনও ঐ নামে জন্মের সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।

 দাদা শ্রীযুক্ত বিনয়ভূষণ ঘোষ জন্মেছিলেন ভাগলপুরে, মেজদা’ শ্রীমনোমোহন ঘোষের ও জন্ম সেইখানে। শ্রীঅরবিন্দ—আমার সেজদা’ জন্মেছিলেন কলকাতায়। দিদি শ্রীসরোজিনী ঘোষের জন্ম রংপুরে এবং আমার জন্ম বিলাতে নরউডে। ছেলেপুলে নিয়ে সস্ত্রীক বাবা বিলাত যান এবং একা ফিরে আসেন ১৮৭৯ সালের আগষ্ট মাসে, মাও আমাকে ও দিদিকে নিয়ে একা দেশে আসেন আমার জন্মের তিন মাস পর ১৮৭০ সালের মার্চ্চ মাসে। দেশে ফিরে এসে কত দিন মা ও বাবা একত্র ছিলেন, কবেই বা আমাকে ও দিদিকে নিয়ে মা রোহিণীতে বাস করতে গেলেন এসব ইতিবৃত্ত জানে এমন মানুষ বোধ হয় এখন আর কেউ বেঁচে নেই। পাগল মায়ের কোলে সুখে ও দুঃখে আমি ও দিদি বাড়তে লাগলুম। তিন দাদা বিলাতে শ্বেতদ্বীপের মায়াপুরীতে মানুষ হ’তে লাগল। সেখানে তাঁরা ছিলেন চৌদ্দ বৎসর। রংপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট গ্লেজিয়ার (Glazier) সাহেব ছিলেন বাবার বন্ধু, তাঁরই আত্মীয় non-conformist পাদ্রী ড্রইড সাহেবের পরিবারে ম্যাঞ্চেষ্টারে তিন ভাই থাকতেন। সেজদার নাম যে হয়েছিল অরবিন্দ অক্রয়েড ঘোষ সেই অত্রুয়েড Akroyd পরিবার, এই ড্রইডদের আত্মীয় ও তাঁরাও বাবার পরম বন্ধু ছিলেন।

১৫