পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

এখন তখন, ড্রুইডও তাঁর কাছে অনেক টাকা পেত, পরে সে অষ্ট্রেলিয়া যাবার পথে ভারতে এসে বাবার কাছে নিজের প্রাপ্য টাকা নিয়ে গেল।

 বিলাতের জীবনে শেষ পাঁচ বছর দাদাদের বড়ই অর্থাভাব গেছে। বছরে ৩৬০ পাউণ্ড পাঠাবার কথা, এক বছর বাবা পাঠালেন মাত্র এক শ’ পাউণ্ড। বড়দা’র দর্জি ইত্যাদির দোকানে যে ঋণ হল তা তিনি পরে ভারতে এসে পরিশোধ করেছিলেন। শ্রীঅরবিন্দের মুখে শুনেছি অনেক দিন তিনি একটা কি দু’টো স্যাণ্ড উইচ্ খেয়েই কাটিয়েছেন। সেখানে প্রবাসী ভারতীয় ছাত্রদের আলোচনা-সভা ছিল, তার নাম ছিল ‘মজলিস’। সেই সভায় গরম গরম রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ায় শ্রীঅরবিন্দ সেই বয়সেই গভর্নমেণ্টের সুনজরে পড়েন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ছিলেন সেখানে শ্রীঅরবিন্দের সমসাময়িক। I. C. S পরীক্ষায় বেশ সম্মানের সঙ্গে পাশ করেও তুচ্ছ ঘোড়ায় চড়ায় যে তাঁকে অকৃতকার্য্য বিবেচনা করা হ’লো তার কারণ খুবই সম্ভব গভর্ণমেণ্টের ঐ সুনজর, সেই সময়ে এই নিয়ে ভারতে সংবাদপত্রে খুব আন্দোলন হয়েছিল।

 তিন ভাইএর মধ্যে শ্রীঅরবিন্দই প্রথম দেশে আসেন। ভারতে জনপ্রিয় সার হেনরী কটন ছিলেন দাদারাবু রাজনারায়ণ বসুর বিশেষ বন্ধু। বড়দা’ তাঁর ছেলে জেমস্ কটনের কাছে শ্রীঅরবিন্দকে নিয়ে যান; জেমস্ কটন তাঁকে গায়কবাড়ের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়ায় গায়কবাড় তাঁকে প্রাইভেট সেক্রেটারী

১৯