পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস ولا br< মারাঠা দেশ (দক্ষিণ) ও মারাঠী গুজরাটের চেয়ে মারাঠা দেশের সঙ্গে আমার সমধিক পরিচয় । আমার সর্কিসের প্রথম ভাগ গুজরাটে কাটানো যায়, অবশিষ্ট ভাগ সিন্ধুদেশ, কানাড়া, কোঙ্কণ ও দক্ষিণে অতিবাহিত হয় । পুণা, আহমদনগর, নাসিক, ধূলিয়া, সোলাপুর, সাতার এই সকল প্রদেশ দক্ষিণাত্যের অন্তর্গত, কোর্টের ভাষা মারাঠী । পুণ৷ পুণানগরী মূল ও মুঠ এই দুই নদীর সঙ্গমে সংস্থাপিত, এই পুণ্যসঙ্গমে পুণার বিশেষ মাহাত্ম্য। একটি বাধ বেঁধে স্রোতের জল আটকে রাখা হয়েছে, তাই নদী দুটি এ অঞ্চলের আর আর নদীর মত গ্রীষ্মকালে শুকিয়ে যায় না, বার মাস পূর্ণ থাকে। বর্ষায় বঁধের উপর দিয়ে নদীর জল উথলে পড়ে, দেখতে জলপ্রপাতের দ্যায় সুন্দর দেখায়। বাধের ধারে ছোটখাট একটি সুন্দর বাগান পুরবাসীদের সান্ধ্য সন্মিলনের স্থান । পুণ পেশওয়াদের রাজধানী ছিল, সেই প্রাচীন পেশওয়াই ভাগ সহরের অভ্যস্তরে । সেকালের কতকগুলি ইমারতের মধ্যে আসল যে রাজবাটী ( বুধবার বাড়া ) ত কোন দুরাত্মার কুচক্রে পড়ে পুড়ে গিয়েছে—ঐ ভাগের আর যা কিছু অবশিষ্ট আছে তাতে পুরাণে পেশওয়াই গৌরবের কোন চিহ্ন নেই। প্রশস্ত পথ ঘাট, কলেজ জেল হাসপাতাল সার্ব্বজনিক সৌধসমন্বিত যে অঞ্চল তাই নব্য পুণ সহর। ইহার প্রাস্তবর্ত্তী ঐতিহাসিক ক্ষেত্র খিড়কী ও পার্ব্বতী-মন্দির উল্লেখযোগ্য । খিড়কী এইক্ষণে ইংরাজ-সেনানিবাস । ভারতে ইংরাজ আধিপত্য স্থাপনের মূলে যে সকল যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে, খিড়কীর যুদ্ধ তার মধ্যে গণনীয় । এই যুদ্ধে পেশওয়ার পতন ও পুণ। ইংরাজরাজের হস্তগত হয় । যে স্থান হতে পেশওয়া বাজিরাও এই শেষ যুদ্ধের বাজী সোৎসুক নয়নে নিরীক্ষণ করছিলেন সে এই পার্ব্বতী-মন্দির । বাজী হেরে পেশওয়ার চির-বনবাস ! পুণার বিদ্যামন্দির—ফরগু্যসন কলেজ পুণর ভূষণম্পদ অনেক জিনিস আছে, আর সব ছেড়ে দিলেও এই বিদ্যালয়গুলি তার অক্ষয় কীর্ত্তিস্তম্ভ বলা যেতে পারে । পুণায় কলেজ চারিটি-দক্ষিণ, ফরগু্যসন, কৃষি ও এঞ্জিনিয়ারিং । দক্ষিণ কলেজ ভারতের অপরাপর ইংরাজি কলেজের ছাচে গঠিত, ফলগু্যসন কলেজই এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এ অনেকটা আমাদের বোলপুর বিদ্যালয়ের