পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 একটা সামান্য চুড়ো বা মসজিদ গড়তে যাঁদের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, তাঁরা যখন মুখে বলেন, “ঈশ্বর বা আল্লাহের ইচ্ছেতেই সব কিছু হয়"—তখন সেই ধর্মগুরুদের ‘দ্বিচারী' ও 'বুজরুক’ উপাধিতে ভূষিত করলে কোনও ভুল করা হবে কি?

O

একটা সামান্য চুড়ো বা মসজিদ গড়তে যাঁদের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, তাঁরা যখন মুখে বলেন, “ঈশ্বর বা আল্লাহের ইচ্ছেতেই সব কিছু হয়"—তখন সেই ধর্মগুরুদের ‘দ্বিচারী’ ও ‘বুজরুক’ উপাধিতে ভূষিত করলে কোনও ভুল করা হবে কি?

O


কারণ: বাইশ

ঈশ্বরই যখন সবকিছুর নিয়ন্তা, তখন রোগমুক্তির জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রের ভূমিকা কী?


‘ঈশ্বরই সব কিছুর নিয়ন্তা'—বলে যারা বিশ্বাস করেন এবং সে কথা প্রচারও করেন, তাঁরা কি সত্যি সতািই কথায়-কাজে একাত্ম মানুষ? তাঁরা কি অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যান না?

 ঈশ্বরকে সব কিছুর নিয়ম্ভা বলে স্বীকার করলে চিকিৎসাশাস্ত্রকে অবশ্যই অস্বীকার করতে হয়। কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছেতেই রোগ ও তার মুক্তি হলে চিকিৎসাশাস্ত্রের রোগমুক্তির ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকাই থাকতে পারে না।

 আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা অবশ্য বড়ই করুণ। বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সাটিফিকেট পাওয়া ধর্মগুরু গৌরাঙ্গ ভারতী সবার রোগ গ্যারাণ্টি দিয়ে সারাবার দাবি করলেও, নিজের হেঁচকি রোগ (সব সময়ই হেঁচকি ওঠা) সারাতে তাবড় তাবড় কত যে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন তার ইয়ত্তা নেই। জন্মসিদ্ধ বালক ব্রহ্মচারী দুনিয়ার মানুষের ক্যানসার থেকে এইডস পর্যন্ত সরিয়ে নিজের অসুখ সারাতে হাজির হয়েছিলেন কোঠারি হসপিটালে। সাঁইবাবা সবার বোগই সারান, নিজের রোগ সারাতে পাড়ি দেন বিদেশে। আজ পর্যন্ত যত অবতার দেখেছি, সব অবতাররাই রোগমুক্তির জন্য রোগীকে ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখতে বললেও নিজেরা ভরসা রাখেন ঈশ্বরের পরিবর্তে ডাক্তারের উপর। কেন এই দ্বিচারিতা।

O

আজ পর্যন্ত যত অবতার দেখেছি, সব অবতাররাই রোগমুক্তির জন্য রোগীকে ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখতে বললেও নিজেরা ভরসা রাখেন ঈশ্বরের পরিবর্তে ডাক্তারের উপর।

O

৪৯