পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটু হেসে অনিমেষ বলে, তোমার ঘর টানটা কিন্তু বড়ই খাপছাড়া কেশব। একজন ইয়ং ম্যান, নিজের ফ্যামিলি নেই, ছুটি পেলেই বাড়ী ছোট-এর মানেই বুঝতে পারিনা। আমি। কেশব চুপ করে থাকে। আনিমেষ, তখন গম্ভীর হয়ে বলে, বাইরের বদ খেয়ালের চেয়ে এটা অবশ্য ভাল । ठूछे সারাদিন ডিউটি দিয়ে সত্যই কেশব প্রায় রোজ রাত্রেই গ্রাম্য সহরতলীতে তার পুরানো ভাঙাচোরা নোংরা বাড়ীতে ফিরে যায় । সহরের সৌখীন এলাকায় অনিমেষের আধুনিক ফ্যাশনের নূতন রঙ করা বড় বাড়ী । গ্যারেজের লাগও ড্রাইভারের থাকবার ঘরটি DuDD DBBDL SDBDBD BBBBD BBD S S SMBBD DDBDD বাড়ীটির আগাগোড়া চুণ ফেরানো রঙ লাগানো হয়, এ ঘরটিও বাদ যায় না । ষ্টেশন পেরিয়ে সেই কতদূর বোসপাড়া, সেখানে ইট বার করা নোনায় ধরা দালানের ছোট ছোট ঘর, আলকাতরা মাখানো ছোট ছোট জানাল দিয়ে ভাল আলো-বাতাস খেলে না ঘরের মধ্যে, ভিতরটাও ভাঙাচোরা জিনিষপত্রে বোঝাই । রাত্রিটুিকুর জন্য অত দূরে ওরকম একটা ঘরে রাত কাটাতে যাওয়ার বদলে এখানে থাকলে রাত্রের খাওয়াটাও কেশব পায় । বাড়ীর সেই একঘেয়ে শাক-চচ্চড়ি কুচে। চিংড়ির বদলে বড়লোকের বাড়ীর আধুনিক রুচির পুষ্টিকর সুখাদ্য। কিন্তু দেখা যায় সুখাদ্যের চেয়ে বাড়ীর টানটাই কেশবের ঢের বেশী জোরালো । রাত বেশী না হলে ষ্টেশন পর্য্যন্ত ট্রাম বাস পাওয়া যায়। কিন্তু ষ্টেশনের পাশ দিয়ে লেভেল-ক্রসিং পেরিয়ে গেলে আর ওসব বালাই নেই। S. আরোগ্য-২