èy अरी-बाईी । রাজপুতোচিত মহত্বে ও বীরত্বে অরণ্যকমলাও হীন ছিলেন না। এ যুদ্ধ রাজ্যলাভ বা রােজ্যরক্ষার জন্য নয়, কেবল আত্মসম্মান রক্ষার জন্য। অরণ্যকমলকে বঞ্চিত করিয়া অরণ্যকমলের সঙ্গে বিবাহ সম্বন্ধে আবদ্ধ কুমারীকে সাধু বিবাহ করিয়াছেন, সুতরাং রাজপুত বলিয়া, বীর বলিয়া, এ অবমাননার প্রতিশোধ অরণ্যকমলকে দিতেই হইবে, নতুবা তাহার সম্মান থাকিবে না। আকাঙিক্ষত কুমারী লইয়া সাধুর সঙ্গে তাহার বিবাদ, সমান ক্ষেত্রেও তিনি সাধুর সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া তঁহার সম্মান তিনি রাখিবেন। যেমন করিয়াই হউক সাধুকে তিনি নিহত করিবেনই, এমন নীচ প্রতিহিংসার ভাব অরণ্যকমলের হৃদয়ে लेिज नी। যখন তিনি দেখিলেন, নিজের সৈন্যসংখ্যা অপেক্ষা সাধুরসৈন্যসংখ্যা অনেক কম, তখন তিনি আক্রমণের মুখে রাঠোর সৈন্যকে ক্ষান্ত করিলেন। সাধু, প্রশংসার চক্ষে ইহা নিরীক্ষণ করিলেন। তখন, উভয়পক্ষের ইচ্ছামত সৈন্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বযুদ্ধ আরম্ভ হইল। দ্বন্দ্বযুদ্ধ ক্রমে দলযুদ্ধে পরিণত হইতে লাগিল। দেখিয়া, উড়য়ে কিয়ৎকাল চিন্তা করিলেন। বিবাদ, সাধুও অরণ্যকমলের মধ্যে-নিজ নিজ সম্মান লইয়া । ইহাতে কেন অনর্থক এত লোকক্ষয় হইবে ? তাই, বীরদ্বয় স্থির করিলেন, উভয়ে দ্রুদ্বযুদ্ধ করিবেন। উভয় পক্ষীয় সৈন্যগণ সেই ব্রহ্মাযুদ্ধের ফলাফল নির্বিবাদে গ্রহণ করিবে।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২৭
অবয়ব