বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিজাবাই । 为仓心 প্রতিজ্ঞায় অটল হও। রামের মত ও যুধিষ্ঠিরের মত ধর্ম্মরাজ্যের রাজ্যেশ্বর হইয়া প্রজারঞ্জনে রাজধর্ম্মপালন কর, আমার এই বাসনা, এই আশীৰ্বাদ । সর্বদা আমার এই কথাগুলি মনে রাখিবো। এই ধর্ম্ম, এই ব্রত গ্রহণ করিয়া জীবন ধন্য কর, আমার “মা” নাম সার্থক কর।” রাম লক্ষণ, ভীষ্মাৰ্জন প্রভৃতি রামায়ণ ও মহাভারতের বীর ধার্ম্মিক মহাপুরুষগণের জীবনের, তাহদের আদর্শ কীর্ত্তির কথা শিবাজি দান্দোজির নিকট শুনিতেন। এই সব মহাপুরুষগণের কর্ম্মফলে প্রাচীন ভারত কত বড় ছিল, কেমন করিয়া, ভারতবাসীর কি দোষে, হিন্দুর কি কুকর্ম্মের ফলে, ভারত আবার এই সময় কতদূর হীন হইয়া পড়িয়াছিল, এই সকল কথা নিত্য দান্দোজি ভঁাহাকে বুঝাইতেন। আবার কি আদর্শে জীবন গঠন করিয়া কি প্রকারে শিবাজি ভারতের প্রাচীন গৌরব ফিরাইয়া আনিতে পারেন, তাহাও তিনি বালকের মানস নয়নের সম্মুখে ধরিয়া ধরিয়া দেখাইতেন। মা'র এক একটি কথায় সেই গুলি শিবাজির মনে দৃঢ় ভাবে অঙ্কিত হইতেছিল। কেবল কথা শিখিয়া মানুষ মানুষ হয় না; শিক্ষা মুত সাধনা চাই। একে হৃদয় ভরা আকুলতা, মায়ের অমৃত বাণী, তাহাতে দাদোজির সুবন্দোবস্তে শৈশব হইতেই শিবাজি প্রতিদিনের কার্য্যে এই সব উচ্চ আদর্শের অনুবত্তী হইয়া চলিতে শিখিতে লাগিলেন। নানারূপ ব্যায়াম কৌশল ও অস্ত্র চালনায় যাহাতে মনের মত শরীরও সুগঠিত হয়, দান্দোজি তাহারও