হিলি ও ওয়ার্ণার কয়েদী। কিন্তু কয়েদী হইলেও উহারা ইংরাজ; সুতরাং দেশীয় কয়েদীর সহিত তাহাদের তুলনা হইতে পারে না। দেশীয় কয়েদীর পোষাক, এক প্রকার কাল ডোরাযুক্ত মোটা কাপড়ের জাঙ্গিয়া ও পিরাণ, এবং গলায় লোহার হাঁসুলি। আর ইংরাজ কয়েদীর পোষাক, কিছু অল্পমূল্যের কাপড়ের কোট, পেন্ট্লান; পায়ে মোজা ও বুট জুতা, মস্তকে সাদা সোলার হাট। এই ত গেল পরিধেয়ের তারতম্য। ইহা ভিন্ন দেশীয় কয়েদী লোহার থালায় অন্ন আহার করে, ও মৃত্তিকা-নির্মিত এক প্রকার শয্যার উপর শয়ন করে। আর, ইংরাজ কয়েদীর থাকিবার গৃহে প্রত্যেকেরই একটা টেবিল, একখানি চেয়ার ও একখানি খাট থাকে; আর তাহাদিগকে প্লেটে করিয়া রুটী, মাখম এবং মাংসাদি ভোজন করিতে দেওয়া হয়।
হিলি ও ওয়ার্ণার যে যে ‘শেলে’ বদ্ধ থাকিত, সেই সেই ‘শেলে’ এক একটী টেবিল, চেয়ার ও খাট ছিল।
যে সময়ে জেলের প্রহরী ‘কয়েদী পলাইল’ বলিয়া চীৎকার করিল, তাহার পর জেলের ভিতর দেখা গেল, উভয় ‘শেলের’ চব্স্ তালা ভাঙ্গা, উভয় কয়েদীর বেড়ি সেইস্থানে গড়া গড়ি যাইতেছে। সেই স্থানে একটী লোহার পুরাতন গাতি পড়িয়া রহিয়াছে, ‘শেলের’ ভিতর টেবিল চেয়ার প্রভৃতি কিছুই নাই। যে স্থান দিয়া কয়েদীকে পলাইতে একজন প্রহরী দেখিয়াছিল, সেইস্থানে জেলের ভিতর সেই সকল টেবিল, চেয়ার, খাট প্রভৃতি উপর্য্যুপরি করিয়া রাখা আছে। এই অবস্থা দেখিয়া বোধ হইল, উহারা এই সকল দ্রব্যের