সাহায্যে, সেই উচ্চ প্রাচীরে উঠিয়া সেই স্থান হইতে লম্ফপ্রদান পূর্ব্বক পলায়ন করিয়াছে।
যে প্রহরীর পাহারার সময় কয়েদীদ্বয় পলায়ন করে, সেই প্রহরীকে জিজ্ঞাসা করায় জানিতে পারিলাম যে, সে উহাদিগকে প্রথমে প্রাচীরের উপর দেখিতে পাইয়া “কয়েদী পলাইল, কয়েদী পলাইল” বলিয়া যেমন চীৎকার করে, অমনি তাহারা এক এক লম্ফে জেলের বাহিরে গিয়া উপস্থিত হয়। সেই সময় সে তাহার হস্তের রুল ফেলিয়া প্রহার করায়, উহাদের একজনের টুপি সেইস্থানে পড়িয়া যায়। উহারা সেই টুপি লইতে সময় না পাইয়া, টুপি ফেলিয়াই প্রস্থান করে। প্রহরী বন্দুক লইয়া পাহারায় নিযুক্ত ছিল, কিন্তু সে সময়ে সেই বন্দুক কোন কাজেই লাগে নাই; কারণ, উহাতে গুলি, বারুদ প্রভৃতি কিছুই ছিল না; কেবল ফাকা বন্দুকই ছিলমাত্র।
আরও জানিতে পারিলাম যে, সেই প্রহরীর নিকট সংবাদ পাইয়া জেলের প্রধান প্রধান কর্ম্মচারীমাত্রই সেই স্থানে আগমন করেন। যেরূপভাবে কয়েদীদ্বয় পলায়ন করিয়াছে, তাহা শ্রবণ করিয়া, এবং জেলের ভিতরস্থিত অবস্থা সকল দেখিয়া তাঁহারা একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া পড়েন; তথাপি সময়োচিত অনুসন্ধান করিতে তাঁহারা কিছুমাত্র ত্রুটী করেন নাই। তাঁহাদিগের সাধ্যমত সেই জেলের চতুঃপার্শ্ববর্ত্তী প্রকাণ্ড ময়দানের ভিতর সেই রাত্রিতেই কয়েদীদিগের অনুসন্ধান করিয়াছিলেন; এবং অপরাপর বিশ্বাসী কর্ম্মচারীবর্গের দ্বারাও নিকটবর্ত্তী স্থান সকল অনুসন্ধান করিতে কিছুমাত্র ত্রুটী করেন