একখানি মেঠাইয়ের দোকান হইতে কিছু আহারীয় দ্রব্য সংগ্রহ করিয়া ভক্ষণপূর্ব্বক ষ্টেশনে গিয়া উপস্থিত হইলাম।
আসিয়া দেখিলাম, একখানি ঘোড়ার গাড়ি আনা হইয়াছে ও সেই গাড়ির ভিতর দুইজন সাহেবই বসিয়া আমার অপেক্ষা করিতেছেন। আমার বিলম্ব হইয়াছে, আর “কালা বাঙ্গালীর” অপেক্ষায় যখন তাহারা অনেকক্ষণ বসিয়া আছেন, তখন কাজেই ইংরাজের রাগ হইতে পারে। কিন্তু তাঁহারা রাগ করিয়া আমার কি করিবেন, আমি তাঁহাদিগের অধীনস্থ কর্মচারী নহি।
হাবিৎ সাহেবের মেজাজ স্বভাবতই একটু গরম। তিনি আমাকে দেখিয়াই ইংরাজীতে কহিলেন, (এই সময় সাহেব আবার ইংরাজীতেই কথা কহিতে আরম্ভ করিলেন, কিন্তু আমরা সে সকল কথা বাঙ্গালায় লিখিব), “তোমার নিমিত্ত বসিয়া বসিয়া এত বিলম্ব হইল, নির্দ্দিষ্ট কর্ম্মে গমন করিব কখন? বাঙ্গালী অকর্ম্মণ্য জাতি, কেবল গাল-গল্পেই মজবুত! দেখ দেখি, কত সময় মিথ্যা নষ্ট করিলে?”
সাহেবের কথা শুনিয়া আমার মনে মনে একটু রাগ হইল। তাঁহাকে কহিলাম, “আমি আপনাদিগের সহিত এ কর্ম্মে নিযুক্ত হই নাই, আপনারা অক্লেশে গমন করিলেই পারিতেন; আমার নিমিত্ত অপেক্ষা করিয়া থাকার কোন প্রয়োজন ছিল না। এখন আপনার গমন করুন, আমি আপনার সহিত যাইব না।” এই বলিয়া আমি সেইস্থান হইতে ষ্টেশনের ভিতর গমন করিলাম।
ডালসুরি সাহেব নিতান্ত ভদ্রলোক। তিনি গাড়ি হইতে অবতরণপূর্ব্বক আমার নিকট আগমন করিয়া, আমাকে