পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৩ ) কেবল প্রাচীন লেখমাল। ইতিহাসের জন্ত ইস্থাদের অত্যস্ত প্রয়োজন, ইহাদের আবস্তকতা বলিয়া শেষ করা কঠিন । দক্ষিণদিকের দেয়ালের মাঝামাঝি ঠেকান পাথর খানিই সকলের মধ্যে প্রাচীন । ইহা মানসেরা হইতে আনীত । মানসেরা এখন উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের অন্তর্গত । অশোকের শিলালিপি সমবায়ের মধ্যে ইহা একখানি সর্ব্ব প্রাচীন লিপির টুক্‌রা । ইহার অক্ষর যাবতীর অক্ষরের সহিত সম্পূর্ণ বিভিন্ন রকমের। ইহা উত্তরপশ্চিম প্রান্তর এক প্রকার নুতর ধরণের অক্ষর। পণ্ডিতমণ্ডলী ইহাকে খরোষ্টী বলেন এবং ইহা দক্ষিণদিক্ হইতে বামদিকে পড়িতে হয়। মুসলমান আক্রমণের পূর্ব্বে ভারতীয় লিপিমালায় এরূপ ধরণ, প্রকৃতই বড় উণ্ট রকমের। এই মানসের শিলালিপির মর্ম্ম সাধারণতঃ সম্রাট অশোকের যে সব অনুশাসন বাক্য উড়িষ্যার ধাউলি পর্ব্বতে এবং তাহার বিস্তৃত সাম্রাজ্যের যথাতথা দেখিতে পাওয়াযায় তাহারই অনুরূপ। মানসেরা প্রস্তরখণ্ডের সন্নিকটে পাদানের উপর গ্রথিত বড় বড় তিনখানি পাথর যাবা হইতে আসিয়াছে। এগুলির ঐ বিস্তৃত লিপি ংস্কৃত ও যাবাদেশীয় কবি নামক পুরাতন ভাষায় লিখিত । এই সারির চতুর্থ পাথরখানি, যে খানি একেবারে পূর্ব্বাদকের শেষে রহিয়াছে সে খানি দক্ষিণ ভারতের আমদানি । এই গৃহের দক্ষিণ পূর্ব্বকোণে যে একথানি কাল রঙের বড় পাথর রহিয়াছে ওখানি বাঙ্গালী দর্শকগণের বিশেষ দ্রষ্টব্য, যেহেতু ঐ বিস্তৃত ও সুন্দর শিলা-লিপিখানি বল্লালসেনের পিতা বাঙ্গালার রাজ বিজয়সেনের প্রশস্তি। এ পাথরথানির একটু বামে ভারতের প্রাচীন হুণ রাজত্বর সমসাময়িক এক খানি শিলালিপি আছে ও তাহার পরে গুপ্তরাজত্বকালীন আর একখানি রহিয়াছে। গৃহের এই অংশে অবস্থিত লম্বা গ্লাসকেসের ভিতরে একেবারে পূর্ব্বদিকে রক্ষিত একটি তামার বড় খোটা ওটি বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিবার জিনিস। এই খোটাটির উপরেই অশোকনির্ম্মিত সিংহাধিষ্ঠিত প্রকাও স্তম্ভশীর্ষটি গ্রথিত ছিল। উহা প্রবেশদ্বার গৃহে রহিয়াছে। ইহা একটি অশোকের উচ্চদরের নির্ম্মাণ কৌশলের ও তৎসামরিক এতৎসংক্রান্ত বিস্তৃত বিস্তাবক্তার জীবস্ত সাক্ষী। ভারতেতিহাসে এই অশোকই প্রথমে