পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 58 ) স্থাপত্যকর্ম্মে কারুকার্য্যময় প্রস্তর ব্যবহার করেন। অথচ অঙ্ক্যাশ্চর্য্যের বিষয় এই যে এ সকল কার্য্যে লোছার ব্যবহার যে কত বিপজ্জনক তাহ সেই সময়েই বেশ জানা ছিল। এই গৃহের উত্তর সীমানায় কতকগুলি মুসলমানী শিলালিপি রাখিয়া দেওয়া হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে উত্তরপূর্ব্ব কোণে রক্ষিত আফ্রিকার লোহিত সাগরের বেলাভূমি হইতে আনীত প্রস্তরখানিই সম্ভবতঃ বিশেষ দ্রষ্টব্য। এখানি ১১শত খৃষ্টাব্দের শিলালিপি। এদিক্কার লিপির অধিকাংশেরই সন্মুখের টিকেটে বেশ পরিষ্কার করিয়া মর্ম্মবর্ণনা লিখিত থাকায় এ বিবরণীতে ইহাদের সম্বন্ধে বড় ৰিশেষ করিয়া কিছু বলিবার আবশ্বকত নাই। এই গৃহের মধ্যস্থলে কিন্তু কতকগুলি অতি মুন্দররকমের মুসলমান সম্প্রদায়ের কারুকার্য্যখচিত থাম আছে । এগুলি ভাল করিয়া দেখিয়া লওয়া উচিত । গুপ্ত গৃহে পুনঃ প্রবেশ । শিলালিপির কামরা হইতে বাহির হইয়া গুপ্তগুষ্ঠের উত্তর দিকে প্রবেশ করিলে মলয় দ্বীপ হইতে আনীত একখানি নূতন রকমের শিলালিপি দেখিত পাওয়াযায়। এখানি যে জাতীয় তাহ পৃথিবীর এ অংশে অদ্যাবধি প্রাপ্ত এই প্রকারের অল্প কয়েকখানা শিলালিপির মধ্যে একখানি মাত্র ; ইহার কাছে দুটি অসম্পূর্ণ ব্রহ্মদেশীয় মুক্তি আছে। সেগুলি প্রোম্ হইতে আসিয়াছে। সম্মুখে গৃহের মধ্যস্থলে মকর আকারের ঐ নালাগুলির উল্লেখ কর্ত্তব্য। এগুলি বেছার ও গৌড় হইতে আনীত। আরও কতক গুলি যাবাদ্বীপের প্রস্তর মূর্ত্তি এই উত্তরাংশের প্রথম বীথিতে রাখা হইস্বাছে। ইহাদের দ্বারা বেশ বুঝাযাইতেছে যে মধ্যযুগের প্রারম্ভে ঐ দূরবর্তী প্রদেশে কেমন মুম্পষ্টরূপে ব্রাহ্মণপ্রভাব বিস্তৃতি লাভকরিয়াছিল। পরবর্তী বীথিতে কতকগুলি জৈনমূর্ত্তি একত্রে রক্ষিত হইয়াছে।